গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

জামালপুরের বাণিজ্যিকভাবে পানিফল চাষ বাড়ছে

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে পানিফল। কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় এই ফল চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফল চাষে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা।

প্রতি বছরই বোরোধান কাটার পর খাল, বিল ডোবা এবং পতিত জমিতে পানিফল চাষ করেন কৃষকরা। এই চাষে প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। তবে বেশি লাভজনক হওয়ায় এই ফল চাষ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই অঞ্চলে।

প্রতিদিন বিল থেকেই কৃষকদের কাছে থেকে পানিফল সংগ্রহ করে নিয়ে যায় ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, প্রতি কেজি পাকা পানি ফল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং কাঁচা পানিফল ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে সংগ্রহ করছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় এই ফল বিক্রিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে উন্নত জাতের চারা সংগ্রহের আশ্বাস উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার।

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলমগীর আজাদ বলেন, ‘বিঘাপ্রতি ফলন হয় ১৫ থেকে ২০ মণ। কৃষকরা ১ মণ পানিফল বিক্রি করেছে ২ হাজার টাকা করে। কৃষক এ ফলের বাজার নিয়ে বেশ আশাবাদী। আমরা পানিফল সম্পর্কে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে পাশে আছি।’

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় চলতি বছরে ৪৫ হেক্টর পতিত জমিতে পানিফলের চাষ হয়েছে। এই ফল চাষ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি চাষিদের।

এএম