গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

খোলা বাজারে ধান বিক্রির আগ্রহ, ধান চাল সংগ্রহ অভিযানে ভাটা

জামালপুরে চলতি বছরের মে মাসে বোরো মৌসুমের ধান চাল সংগ্রহ অভিযান কার্যক্রমের উদ্বোধন হয় চলবে ৩১ তারিখ পর্যন্ত। ৩৪ হাজার ৪১৪ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৪৫ টাকা কেজি দরে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে খোলা বাজারে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৭ থেকে ৪৮ টাকা কেজি দরে এবং চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়। দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন খোলা বাজারে ধান বিক্রির দিকে। এতে করে ভাটা পড়েছে চাল সংগ্রহ অভিযানে।

সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে খোলা বাজারে ধানের ভালো দাম পাওয়া, খাদ্য গুদামে ধান বিক্রিতে ভোগান্তিসহ নানা কারণে প্রান্তিক কৃষকরা গুদামে ধান বিক্রিতে অনাগ্রহী হয়ে পড়ছেন।

প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা জানান, সরকারের গুদামে কিভাবে ধান নেয় এইটাই আমরা জানিনা

আরো একজন কৃষক বলেন, 'আমার বয়স ৬০ এর নিচে না এই বয়সের মধ্যে সরকারের কাছে এক মণ ধান ও বিক্রি করতে পারি নাই।'

মাঠ পর্যায়ে ধান উৎপাদনের জন্য প্রণোদনার সুযোগ এবং সার, বীজ, কীটনাশকসহ সকল কৃষি উপকরণের দাম কৃষকদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখলে খাদ্য গুদামে ধান বিক্রিতে বাড়বে উৎসাহ।

এছাড়াও ধান কাটা মৌসুমে জেলার স্ব স্ব ইউনিয়নে ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলার আহ্বান।

স্থানীয় ধানের ব্যবসায়ীরা জানান, যারা ১ টন করে ধান দিতে চায় তাদের ধান নেয়না ধানে শুকনা কম, আর্দ্রতা কম চিটা থাকে নানা তালবাহানা করে আর নেই না।

সার বীজ এগুলোর অনেক দাম যার ফলে কৃষকদের চাষাবাদের পর আর কিছুই থাকে না বলেও এক ব্যবসায়ী জানান।

এদিকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জানান, জেলার সাত উপজেলার তালিকাভুক্ত ২১১টি চাতাল মিলের মালিকরা সরকার নির্ধারিত দামে গুণগত মানের চাল সরবরাহ করছে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে শতভাগ চাল সরবরাহ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জামালপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: আসাদুজ্জামান খান বলেন,'এ পর্যন্ত আমরা বোরো সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করেছি ৩২ হাজার ৪০২ টন ,ধান সংগ্রহ করেছি ৩ হাজার ৬৬৬ টন।চালের লক্ষ্যমাত্রা পুরাটাই সংগ্রহ হবে আশা করি।'

ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হলেও এখন পর্যন্ত ৩ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য গুদাম।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর