চলছে আগাম জাতের আলু উত্তোলন।গত কয়েকদিনের বিরুপ আবহাওয়ায় আলুর ফলন অনেকটায় বিপর্যয়ের আশংকা করছেন কৃষক। এছাড়া কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় এবার ২০ টাকার নীচে আলু বিক্রি করলে লোকসান হবে। তবে বর্তমান দাম নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানান আলু চাষিরা।
কৃষকরা বলেন, '২০ টাকান নিচে আলু বিক্রি করলে আমাদের অনেক লোকসান হয়ে যাবে। ৩০ থেকে ৪০ টাকা আলু কেজি বিক্রি করলে ফলাফল ভালো হবে। যেহেতু আলু ফলন কম হইসে।'
আলুর দাম নিয়ে প্রায় সারা বছরই অস্বস্তিতে ছিল সরকার এবং ভোক্তরা। ডিসেম্বরে নতুন আলু বাজারে এলেও ৫০ টাকায় কিনতে হয়েছে নতুন আলু। তবে গত দুদিন থেকে বগুড়ার হাট বাজারে আলুর দাম অনেকটাই কমেছে। আজ মহাস্থান পাইকারি বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় আলু কেনাবেচা হয়েছে।
বিক্রেতারা বলেন, সাদা আলু ৩৫ আর লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
ক্রেতারা বলেন, ৩৫ থেকে ৪০ টাকার ভিতরে হইলে তো চলা যায়। নয়তো সাধারণ মানুষের জন্য অনেক কষ্ট হয়ে যায়। বাধাকপি, ফুলকপির দাম যদি ২০-২৫ টাকার মধ্যে হইতো তাহলে সুবিধা হতো।
বগুড়ায় এখন চলছে আগাম জাতের আলু উত্তোলন। ফেব্রুয়ারীতে উঠবে সংরক্ষন করার আলু। এবার বগুড়াতে প্রায় ১৩ লাখ টন আলু উৎপাদন হবে। আগাম জাতের আলু হয়েছে ৩৫ হাজার টন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলেবুর রহমান বলেন, 'আগাম আলুটা যদি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়, আমাদের মৌসুমের ৫৫ হাজার ২৬০ হেক্টর জমির আলু পূর্ববর্তী বছরের ন্যায় স্বাভাবিক দরটা কিন্তু আসবে বলে আশা করছি।'