এক সময় সনাতন পদ্ধতিতে ধান কাটাই-মাড়াই করা হলেও সেই ধারায় এসেছে পরিবর্তন। গেল ৫-৭ বছরের ব্যবধানে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ায় মাড়াই মেশিনের গুরুত্ব বেড়েছে কৃষকদের কাছে। প্রয়োজন মেটাতে দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় তৈরি হচ্ছে ধান মাড়াই মেশিন। আমন মৌসুমে চাহিদা থাকায় কারখানাগুলোতে বর্তমানে বেড়েছে কারিগরদের ব্যস্ততা। আর এসব কারখানায় কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে স্থানীয় বেকার যুবকের।
এদিকে মাড়াই মেশিনের ফলে অনেকটাই ভোগান্তি কমেছে কৃষকদের, ধান মাড়াই প্রক্রিয়ায় সময় ও অর্থের সাশ্রয়ে বিকল্প নেই। তবে, মেশিনের বাড়তি দাম নিয়ে অভিযোগও রয়েছে তাদের।
কাঁচামালের দাম বাড়ায় বেড়েছে উৎপাদন ব্যয়। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পলে কম মূল্যে কৃষকদের কাছে মাড়াই মেশিন বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান কারখানা মালিকরা।
কারখানা মালিক শফিকুল আলম বলেন, ‘মেশিন তৈরির কাঁচামালের দাম দিগুণ হয়েছে, যেখানে আমরা আগে শিট কিনতাম ৪০ থেকে ৫২ টাকায় এখন শিট কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকার বেশি দামে।’
কারখানা মালিক নুরে আলম বলেন, ‘আমরা যদি সরকারি সহায়তা পেতাম মাড়াই মেশিন তৈরির কাজে তাহলে আরো বড় আকারে এ কাজ করা যেত পাশাপাশি এতে গ্রাহকদেরকেও আমরা আরো সুযোগ-সুবিধাও দিতে পারতাম। এছাড়া মেশিনগুলো আমরা বাহিরের দেশে আরো বেশি পরিমাণে বিক্রি করতে পারতাম’
প্রতি বছর জেলার বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ও ঘোড়াঘাট উপজেলায় গড়ে আড়াইশ থেকে ৩০০ মাড়াই মেশিন বিক্রি হয় যার বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকার মতো।