দেশের আলুর বার্ষিক চাহিদা ৯০ লাখ টনের কিছু বেশি। গেল অর্থবছরে ১ কোটি ৪ লাখ টন আলু উৎপাদনের তথ্য দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সে হিসেবে চাহিদার তুলনায় বেশি আলু উৎপাদন হয়েছে দেশে। তারপরও বেশ কিছুদিন ধরে আলুর দাম রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।
গেল ৬ মাসে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে আলুর দাম। যাতে হিমশিম অবস্থা ভোক্তাদের। খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি বিক্রি হয়েছিল সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে। এরপর বিভিন্ন সময় অভিযানের পরেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি বাজার। এমনকি নতুন আলু উঠতে শুরু করলেও দামের নাগাল টেনে ধরা সম্ভব হয়নি।
এঅবস্থায় ভারত থেকে ৩৫ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। যে আলু ইতিমধ্যে দেশে ঢুকতে শুরু করেছে। এদিকে আমদানির খবরে রাতারাতি প্রভাব পড়েছে বাজারে। আমদানি করা এসব আলু বন্দর এলাকায় বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। যে আলু ২ দিন আগে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি হয় ৪০ টাকায়।
এদিকে বাজারে আলুর দাম কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।
ক্রেতারা বলেন, ‘আগের থেকে প্রায় অর্ধেক দামে আলু বিক্রি হচ্ছে। নিয়মিত যদি বাজার তদারকি করা হয় তহলে এই সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে। এরফলে আমাদের মত ক্রেতারা একটু ভালো থাকবে।’
আমদানিকারকরা বলছেন, আমদানির আলু সব খরচ মিলে ২২ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। যা বাজারে বিক্রি হবে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ বাজারে দাম কমে যাওয়ায় লোকশান গুনতে হবে তাদেরকে। এ অবস্থায় আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
আমদানিকারক শাহিনুর রেজা শাহিন বলেন, ‘শুল্ক যদি শূন্যের কোঠায় রাখলে আমরা যারা আমদানিকারক রয়েছি তারা অন্তত লোকসানের হাত খেকে রেহাই পেতে পারবো।’
দেশে তৃতীয়বারের মতো হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি হচ্ছে। যার অনুমতি পেয়েছে ৫২টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।