অর্থনীতি , শিল্প-কারখানা
এখন জনপদে
0

কুমিল্লায় ধান সংকটে রাইস মিল বন্ধ

কুমিল্লায় ধান সংকটে রাইস মিলগুলো থেকে কমে গেছে চালের সরবরাহ। ফলে খুচরা বাজারে চালের সংকটে বাড়ছে দাম। মিল মালিকরা বলছেন ধানের দাম বাড়তি, ফলে বাধ্য হয়ে অনেকেই বন্ধ রেখেছেন কারখানা।

আমনের ভরা মৌসুমে কুমিল্লার বুড়িচং এলাকায় আগে শ্রমিকের হাঁকডাক ছিল অর্ধশতাধিক রাইস মিলে। কিন্তু এবছর সে চিত্র পাল্টে গেছে। ধান সংগ্রহ করতে না পারায় বন্ধ হয়েছে অনেকগুলো মিল। বেকার হয়ে পড়েছেন হাজারের বেশি শ্রমিক।

চব্বিশের ভয়াবহ বন্যার পর কুমিল্লা, ফেনী এবং লক্ষ্মীপুরে ধানের আবাদ ও উৎপাদন লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি। ফলে মিল মালিকরা বাড়তি দামে ধান কিনছেন সিলেট, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে। মণপ্রতি ১৩শ' টাকা নির্ধারিত থাকলেও সেই দামে ধান পাচ্ছেন না মিল মালিকরা।

শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘চালের দাম কম কিন্তু ধানের দাম বেশি এই কারণে মালিকরা মিল চালাতে পারছে না।’

আরেকজন বলেন, ‘আজকে ১৫ দিন ধরে মিল বন্ধ। একবার ধান ভাঙলে ঘাটতি থাকে এক লাখ টাকা যে কারণে মালিকরা মিল চালাতে পারছে না।’

মিলগুলোতে ৪শ', ৮শ' ও ১২শ' মণের একাধিক ড্রায়ারে ধান প্রস্তুত করা হয়। সংকট থাকায় ড্রায়ারে চাহিদা মতো ধান দিতে পারছেনা মিলগুলো।

আগস্টে নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। কুমিল্লায় প্রতিবছর লক্ষ্যমাত্রার থেকে বেশি ধান উৎপাদন হতো। কিন্তু চলতি বছরে প্রায় ৩২ শতাংশ জমি থেকে যায় অনাবাদি। ফেনীতে উৎপাদন লক্ষমাত্রার ৪০ শতাংশ ধান উৎপাদন হয়েছে।

কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আইয়ুব মাহমুদ বলেন, ‘রোপা আমনের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা বন্যার কারণে হয়নি। এছাড়া অনেক জমি চাষের আওতায় আসেনি।’

খুচরা বাজারে মিনিকেট ৮১ টাকা, আটাশ ৫৯ টাকা ও মোটা গুটি চাল ৫২টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ কম থাকায় বাড়ছে চালের দাম।

কুমিল্লায় ধানের উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ৩ লাখ ৪১হাজার ৯৫৭ মেট্রিক টন। অর্জিত হয়েছে ১ লাখ ৮৮হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন। আবাদের লক্ষমাত্রা ১ লাখ ১৫হাজার ৬৬০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৬৮ হাজার ১৭২ হেক্টর।

ইএ