সন্তানকে প্রাণঘাতী রোগ থেকে বাঁচাতে টিকার জন্য এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্রে ছুটছেন বাবা-মা। কিন্তু, কুমিল্লায় মিলছে না শিশুর জীবনরক্ষাকারী ৪ ধরনের টিকা।
দীর্ঘ প্রতীক্ষা আর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও কাঙ্ক্ষিত টিকা দিতে না পারায় উৎকণ্ঠায় অভিভাবকরা।
ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি ও ধনুষ্টংকারের পেন্টাভ্যালেন্ট, নিউমোনিয়ার পিসিভি, হেপাটাইটিস-বি ও পোলিও প্রতিরোধে আইপিভি টিকা ৪ সপ্তাহ অন্তর ৩ ডোজ ও ওপিভি ৪ ডোজ দেওয়া হয়।
এক মাস অপেক্ষার পর বৃহস্পতিবার জেলার ইপিআই সেন্টারে এসেছে ২৪ হাজার টিকা। কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ কম বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
চিকিৎসকরা জানান শিশু জন্মের পর ঠিক নির্দিষ্ট সময় পর পর টিকা দিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। তবে, নির্দিষ্ট সময়ে টিকা দিতে না পারলে থেকে যায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধান মিয়া মনজুর আহমেদ বলেন, ‘একটার সাথে আরেকটা জড়িত। আমি মনে করি এ সাময়িক সংকটের জন্য এত উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ আমরা টিকা দেই প্রিভেনশনের জন্য। কোনো কারণে রোগটা যদি হয়ে যায় আমাদের হাতে তো চিকিৎসার অপশন আছেই।’
জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন জানান, চাহিদা থাকলেও এখনই সমস্যা সমাধানের সুযোগ নেই।
কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সারোয়ার রেজা বলেন, ‘টিকার সংকট এটা দেশব্যাপী একটা ন্যাশনাল ক্রাইসিস। এখানে কুমিল্লা আলাদা না। যে পরিমাণ টিকার চাহিদা সে পরিমাণ দিতে পারছি না। টিকা দিতে কিছুটা দেরি হবে।’
এমন অবস্থায় শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পরিমিত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার দেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
গেল বছরও ৬ লাখ পেন্টাভ্যালেন্ট টিকার চাহিদা থাকলেও পাওয়া যায় ৪ লাখ ৭২ হাজার ৫২০টি টিকা।