গ্রাম থেকে শহর। বাড়ি বা ভ্রাম্যমাণ দোকানে সারাবছরই আখের গুড়ের চাহিদা থাকে ভরপুর। এছাড়া বছরের অন্য সময় থেকে, শীতে গুড়ের চাহিদা থাকে দ্বিগুণ। তবে আখ চাষ কম হওয়াসহ নানা মুখি সংকটে গুড় উৎপাদন বিমুখ হচ্ছে নাটোরের চাষিরা।
নাটোর শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকার গুড় পট্টি। এক সময় কৃষকদের উৎপাদিত আখের গুড়ে জমজমাট ছিল শতাধিক আড়ত। দেশীয় উৎপাদন সংকটে সেই চাহিদার বড় অংশই পূরণ হচ্ছে ভারত থেকে আমদানি করা গুড় দিয়ে।
বছরে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের তিন মাস এই গুড়ের চাহিদা কম থাকলেও বৈশাখ শুরুর সাথে সাথে ঘরে ও বাজারের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তবে আখের উৎপাদন কমায় এই শিল্পে ধস নেমেছে। পাশাপাশি, সরকারি নিষেধাজ্ঞায় মিলজোন এলাকায় আখ মাড়াই করে গুড় তৈরি করতে পারছেন না কৃষকরা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরাও।
নাটোর জেলা গুড় ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার জাহান রোকন বলেন, ‘সরকার যদি চেষ্টা করে আখের উৎপাদন বাড়ায় তাহলে সারা দেশের মানুষের কাছে সেই ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি পৌঁছে দিয়ে সম্ভব।’
দেশীয় চিনি শিল্প রক্ষায় ২০০৬ সালে গুড় নিয়ন্ত্রণ আইন করা হয়, যার ফলে মিলজোন এলাকায় গুড় উৎপাদন নিষিদ্ধ হয়ে যায়। তবে মিলজোন এলাকায় আখ মাড়াই করে গুড় উৎপাদনের সুযোগ না থাকায় যে কয়জন কৃষক আখ উৎপাদন করছে, তার সবটুকুই দিতে হচ্ছে চিনি কলে।
আখের গুড়ের চাহিদা বাড়লেও দেশীয় উৎপাদন না থাকায় নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন বাজার আমদানি নির্ভর হয়ে পড়েছে। নীতিগত পরিবর্তন আনলে দেশীয় কৃষকরা লাভবান হবেন, পাশাপাশি কমবে আমদানি নির্ভরতা