আজ (শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি) সকালে নৌকা জাদুঘরটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে এমন খবর শুনে উৎসুক জনতা জাদুঘরের সামনে ভিড় করেন।
খোজ নিয়ে জানা যায়, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুরাদ খান সেখানে এসেছিলেন এবং জাদুঘর অপসারণে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
প্রথমে গণমাধ্যম কর্মীদের ছবি কিংবা ভিডিও ধারণে বাধা দিলেও পরবর্তীতে স্ব-প্রণোদিত হয়েই ক্যামেরায় কথা বলেন অবস্থানকারীরা।
মুরাদ খান জানান, 'এখানে পূর্বে সাধারণ মানুষের জন্য একটি পাঠাগার ছিল। অনেক বড় বড় গাছ ছিল যা সরিয়ে বঙ্গবন্ধুর নামে জাদুঘর করা হয়েছে। এটি অপসারণ করে বা এর পাশে শহীদ জিয়া পাঠাগার করা হবে।'
এসময়ে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজবুল কবির, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুরাদ উজ্জামান টিপন, চরকলোনী ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আমিনুল ইসলাম স্বপনসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজবুল কবির এখন টেলিভিশনকে জানান, 'নানা অনিয়ম করেই এ জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছিল। বিগত সরকারকে খুশি করতে যারা জাদুঘরটি স্থাপন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।'
১৬৫ ফুট দীর্ঘ এবং ৩০ ফুট প্রস্থের বিশাল নৌকার আদলে তৈরি এ জাদুঘরে ৮১ টি ঐতিহ্যবাহী নৌকার রেপ্লিকা ছিল। গতবছরের ৫ আগস্ট বিক্ষুব্ধ জনতা জাদুঘরটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।