পৌরবাসীর অভিযোগ, শুধু স্টেশন রোড এলাকা নয় একই অবস্থা শহরের অন্তত অর্ধশত স্থানের। মালাকার মোড়, সাটিরপাড়া, আরশিনগর ও বড় বাজার এলাকাসহ শহরের ৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটি পাড়া মহল্লার মোড়ে চোখ রাখলেই আন্দাজ করা যায় শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কী চিত্র।
শহরের যানজটের কারণ ও এসব স্তূপ। কখনো কখনো ময়লা পরিষ্কার করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। বর্জ্য পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরাই বলছেন অব্যবস্থাপনার কথা।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নরসিংদীর জন্য চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে পৌরসভার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকারের উপসচিব তুলে ধরলেন নানা অপ্রতুলতা। তবে ময়লা পরিষ্কারে সাধ্যমতো চেষ্টা করা হচ্ছে দাবি কর্মকর্তার।
নরসিংদীর স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর প্রশাসক উপসচিব মৌসুমি সরকার রাখি বলেন, ‘আমাদের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যে যানবাহনগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলোর সংখ্যা খুব অপ্রতুল। এর পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে যানবাহনগুলো পুরোনো। তারপরও আমি সার্বক্ষণিকভাবে চেষ্টা করছি ও মনিটরিং করছি।’
প্রায় দুই লাখ মানুষের জনবসতি ১০ দশমিক ৩২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের নরসিংদী পৌরসভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাবদ বছরে কত টাকা ব্যয় দেখানো হয় এক মাস ঘুরেও মেলেনি সে তথ্য। উল্টো, পৌরসভায় গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় টিম এখন কে।
বাংলাদেশ পার করেছে বিজয়ের ৫৩ বছর। নরসিংদী পৌরসভার বয়স ৫২। এখানকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক হতে আর কত সময় লাগবে এমন প্রশ্ন সকলের?