নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো টেডএক্স ইভেন্ট

এখন জনপদে
0

তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীল শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্ম টেডএক্সের ইভেন্ট। আন্তর্জাতিক সংস্থা টেড ইন্টারন্যাশনালের অনুমোদনক্রমে এবং নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আজ (শনিবার, ২৫ জানুয়ারি) ত্রিশালের নজরুল অডিটোরিয়ামে ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়। যার নামকরণ করা হয় ‘টেডএক্স জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইউনিভার্সিটি’।

ত্রিশালের নজরুল অডিটোরিয়ামে ইভেন্টের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী ও প্রোক্টর ড. মাহবুবুর রহমান জনি।

এরপর মূল সেশনে স্ব স্ব ক্ষেত্রে স্বনামধন্য ৯ জন বিশিষ্টজন তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তারা নিজেদের জীবন অভিজ্ঞতা, উদ্ভাবনী চিন্তাধারা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির কৌশল সম্পর্কে কথা বলেন পুরো ইভেন্ট জুড়ে।

টেডএক্সে অভিনেত্রী অপি করিম; এস্তোনিয়ান অন্ট্রাপ্রেনারশিপ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লাইড সায়েন্সের টেকসই উন্নয়নের সিনিয়র প্রভাষক ও লেখক আমিনুল ইসলাম; নেসলে বাংলাদেশের কোম্পানি সেক্রেটারি দেবব্রত রায় চৌধুরী; মাইক্রোসফটের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ ফারুক; ইউএনডিপি বাংলাদেশের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান মো. আবদুল কায়ুম; চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের কো-ফাউন্ডার ও চিফ এক্সিকিউটিভ এম. জাকির হোসেন খান; চলচ্চিত্র পরিচালক আশফাক নিপুন; শিশু অধিকার কর্মী; জলবায়ু আন্দোলনকারী ও মাই গোল চ্যাম্পিয়ন ফাতিহা আয়াত এবং এভারেস্ট বেসক্যাম্প সাইক্লিং অভিযানের বিশ্ব রেকর্ডধারী তাম্মাত বিল খায়ের অংশগ্রহণকারী তরুণদের সাথে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী রাহুল বলেন, ‘টেডএক্সে যেসব বক্তারা ছিলেন তাদের বলা কথাগুলো আমাদের জীবনের পথ দেখিয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের অভিজ্ঞতাগুলো অনুপ্রেরণা যোগাবে। এরকম এমন ইভেন্ট একজন শিক্ষার্থীর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।’

ইভেন্টেরর লাইসেন্সি এবং লিড অর্গানাইজার আবুল আবছার বাপ্পি বলেন, ‘এই প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য হলো তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা, যাতে তারা নিজেদের সৃজনশীল শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। অনুষ্ঠানটি অংশগ্রহণকারীদের একটি মঞ্চ দিয়েছে, যেখানে তারা অনুপ্রেরণামূলক গল্প শোনা এবং সৃজনশীল চিন্তাধারার গভীরতায় ডুব দিতে পেরেছে। এছাড়া অংশগ্রহণকারীরা উদ্যোক্তা, শিল্পী, গবেষক এবং কমিউনিটি লিডারদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন।’

অনুষ্ঠানে কথন ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ডান্স ক্লাবের সদস্যদের পরিবেশনায় ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এএম