এখন জনপদে
0

এখনো অজানা খুবি শিক্ষার্থী অর্ণব হত্যাকাণ্ডের মোটিভ, শঙ্কিত নগরবাসী

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ৩

খুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অর্ণব হত্যাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এখনও খুনের মোটিভ বের করা যায়নি। এদিকে, একের পর এক হত্যাকাণ্ডে শঙ্কিত নগরবাসী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্ণব নিহতদের হিসাবই মেলাতে পারছেন না মা লিপিকা সরকার। সন্তান সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে এমন খবরে কান্না থামছে না তার। মায়ের আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছে নগরীর বন্দরগাতি ইসলাম কমিশনার মোড় এলাকা।

ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক পিতা নিতিশ কুমার সরকার। কোনো শত্রু না থাকা সত্ত্বেও সন্তানের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তিনি। ভাইকে হারিয়ে কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে অর্ণবের ছোট ভাই অনিক।

নিহতের পিতা নিতিশ কুমার সরকার বলেন, ‘আমার ছেলের কোনো শত্রু থাকতে পারে না। আমি বিশ্বাস করি না।’

শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে নগরীর শেখপাড়া তেঁতুলতলা মোড়ে একটি চা পান করছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর শিক্ষার্থী অর্ণব কুমার সরকার। এ সময় ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে সশস্ত্র লোকজন এসে প্রথমে তাকে গুলি করে।

এরপর রাস্তার পড়ে গেলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পার্শ্ববর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এমন হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ বিচারের দাবি এলাকাবাসীর।

একজন জানান, এলাকাবাসীর কেউ কখনো বলতে পারবে না এরা দুই ভাই কখনো কারো সঙ্গে বেয়াদবি করেছে।

সম্প্রতি খুলনায় দুর্বৃত্তদের হামলায় ১০ জনেরও বেশি নিহত ও অর্ধশতাধিক আহতের ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন অবনতিতে উদ্বিগ্ন নগরবাসী।

হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি তাদের। এইসব বিষয়ে কথা বলার জন্য থানায় পাওয়া যায়নি কোনো কর্মকর্তাকে।

সবশেষ শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত হওয়া অর্ণব কুমার সরকার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের এমবিএ'র শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় সহযোগিতা করতেন তিনি।

এএইচ