খুলনা রেলওয়ে কলোনি। রেলস্টেশনের পাশ দিয়ে গড়ে ওঠা এই কলোনি প্রায় শত বছরের পুরোনো।
ব্রিটিশ শাসনামলে গড়ে ওঠা এই কলোনি তৈরি হয়েছিলো রেল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য। তবে বাস্তবচিত্র ভিন্ন।
খাতা কলমে রেল কর্মকর্তাদের নামে কলোনি বরাদ্দ থাকলেও সেখানে বেশিরভাগ কলোনিতে বসবাস করছেন অন্যরা। অগ্রিম ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে রেল কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এসব কলোনি ভাড়া নেন তারা। প্রতি মাসে দেন ২ থেকে ৫ হাজার টাকা।
কয়েকজন জানান, আগে স্টাফরা থাকতো। এখন এগুলো ভাড়া দিয়ে তারা অন্য জায়গায় থাকে। যারা রেলে চাকরি করে তারা ভাড়া দিয়ে যায়।
খুলনা রেলওয়ে কলোনির লাল ভবনগুলো ঢেকে গেছে ছোট ছোট টিনের ঘরে। ভবনগুলো ঘিরে গড়ে উঠেছে শত শত অস্থায়ী ঘর। যেখানে গাদাগাদি করে বসবাস করছেন কয়েক হাজার পরিবার। যেখানে ঢুকতেই চোখে পড়বে ময়লার ভাগাড়। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস করছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ।
যদিও যেসব রেল কর্মকর্তারা কলোনিতে বসবাস করছেন; তারাও আছেন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এছাড়াও এখানে না থাকার পেছনে সব থেকে বড় কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে নোংরা পরিবেশকে।
খুলনা রেলওয়ে কলোনির বরাদ্দ ও দেখভালের দায়িত্ব রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী অফিসের। যদিও তাদের দেয়া তথ্য মতে, এখানে ৫০৫টি কোয়ার্টারের মধ্যে অবৈধ দখলে রয়েছে ৩৮টি আর খালি পড়ে আছে ১৭টি। যদিও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা।