
চালু হলো যমুনা রেলসেতু
যমুনা নদীর বুকে ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের যমুনা রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে রেলসেতুটির উদ্বোধন করা হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম যমুনা রেলসেতুর উদ্বোধন করেন।

বহু প্রতিক্ষীত যমুনা রেলসেতু চালু হচ্ছে আগামীকাল
আগামীকাল (মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ) উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে পূর্ণরূপে চালু হতে যাচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেলসেতু। এর মাধ্যমে উত্তরের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটলেও জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ডাবল লাইন নির্মাণ না হওয়ায় সেতুর পুরোপুরি সুফল পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

যমুনায় রেলসেতু: চালু হলেও সুফল পেতে বেগ পেতে হবে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জকে
যোগাযোগে গতি আনতে যমুনায় রেলসেতু নির্মাণ হলেও এর পুরো সুফল পেতে বেগ পেতে হবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জকে। নাটোরের আব্দুলপুর থেকে রাজশাহী ডাবল লাইন নির্মাণ না হলে বাণিজ্যিক সুবিধা পাবে না গুরুত্বপূর্ণ এই জেলার ব্যবসায়ীরা। এ পথে গতি আনতে দ্রুত ডাবল রেলপথ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। পশ্চিমাঞ্চল রেল বলছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যোগাযোগ ও অর্থনীতিতে উন্মোচিত হবে নতুন দ্বার।

ভারতীয় ঋণচুক্তির অর্থছাড় না হওয়ায় প্রকল্পে অনিশ্চয়তা
উত্তরাঞ্চলের নতুন রেলরুট প্রকল্প ঝুলে আছে অর্ধযুগ ধরে। যমুনা রেলসেতুর কাজ শেষ হলেও শুরুই হয়নি রংপুরের কাউনিয়া থেকে পাবর্তীপুর আর বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ রেলরুটের কাজ। ঋণচুক্তি অনুযায়ী ভারত অর্থছাড় না করায় এসব প্রকল্পে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও দৃশ্যমান হয়নি কোনো কাজ। এ অবস্থায় অর্থায়নের বিকল্প উৎস খোঁজার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

জানুয়ারিতে খুলছে যমুনা রেলসেতু, উদ্বোধনের আগেই নাম পরিবর্তন
নতুন বছরের জানুয়ারিতেই জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে যমুনা নদীর পর নির্মিত রেলসেতু। তবে রেলওয়ে মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলছেন, উদ্বোধনের আগেই পরিবর্তন হয়ে আগের নামে ফিরবে সেতুটি। দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণের মেলবন্ধন এই সেতু দিয়ে একসাথে দু'টি ট্রেন আসা যাওয়া করতে পারবে। তাতে এ পথে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বাড়বে দ্বিগুণ।