
পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ভয়াবহ বন্যায় অর্ধশত প্রাণহানি, বাস্তুচ্যুত ২০ লাখ মানুষ
পাকিস্তানের পাঞ্জাবে বন্যায় এখনও পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এরমধ্যে বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারকারী নৌকা ডুবিতে এক শিশুসহ প্রাণ গেছে অন্তত পাঁচ জনের। রাভি, সুতলেজ ও চেনাব নদীর পানি বাড়তে থাকায় তলিয়ে গেছে চার হাজার গ্রাম। ঘড় ছেড়েছেন ২০ লাখ মানুষ। এদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে বন্যা কবলিত ২৩ জেলায় চলছে উদ্ধার অভিযান।

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা: পাঞ্জাবে প্রাণহানি বেড়ে ৪৩
পাকিস্তানের পাঞ্জাবে বন্যায় কমপক্ষে ৪৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নদ-নদীর পানি বাড়তে থাকায় শহরগুলোকে রক্ষায় ভেঙে ফেলা হচ্ছে বাঁধ।

ভারতে বন্যা সতর্কতায় রেড অ্যালার্ট জারি, নিহত আরও ৮
ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ভারতের জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা ও পাঞ্জাবের কিছু অংশে বন্যা সতর্কতায় জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। যমুনা নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে আশপাশের এলাকা। বন্যা ও ভূমিধসে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। এদিকে, রাভি ও চেনাব নদীর পানি বাড়ায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতান ও মুজাফফরগড়ে আবারও দেখা দিয়েছে বন্যার শঙ্কা ।

৪০ বছরের মধ্যে নজিরবিহীন বন্যার কবলে পাকিস্তান
ভারী বর্ষণের মধ্যে ভারত বাঁধের পানি ছেড়ে দেয়ায় ৪০ বছরের মধ্যে নজিরবিহীন বন্যার কবলে পাকিস্তান। ভয়াবহ বন্যায় পূর্ব পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া দুই হাজার ৩০০ বেশি গ্রামের ১৫ লাখের বেশি বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে বন্যা-ভূমিধ্বসে শনিবার (৩০ আগস্ট) ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে একই পরিবারের সাত সদস্যসহ কমপক্ষে ১১ জনের প্রাণ গেছে।

ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ
চলতি বছর টানা বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা আর কয়েক দফা বন্যায় ফেনীর ৬ উপজেলার প্রায় ২৮০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু এলাকায় সংস্কার কাজ শুরু হলেও সেখানে আছে চাঁদাবাজি, কাজের ধীরগতিসহ নানা অভিযোগ। এমন অবস্থায় খানাখন্দে ভরা সড়কে বাড়ছে ভোগান্তি।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে বন্যায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে বন্যায় আরও ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর আজাদ জম্মু কাশ্মীরে আরও এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারত থেকে নেমে আসা পানির কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। এদিকে বন্যায় ভারতের অবস্থাও নাজেহাল। ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের রামবান জেলায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে অন্তত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ আরও ৫ জন। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি; কয়েক হাজার গ্রাম প্লাবিত
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে আড়াই ২ লাখ বাসিন্দাকে। প্রদেশের তিনটি প্রধান নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে কয়েক হাজার গ্রাম। রেকর্ড ভারী বৃষ্টিতে শিয়ালকোটের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এদিকে, ভারতের পাঞ্জাব অংশে প্লাবিত হয়েছে ৮ শতাধিক গ্রাম। ছত্তিশগড়ে প্রাণ গেছে অন্তত ৮ জনের। এছাড়া, জম্মু-কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস।

পাকিস্তানের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ
ভয়াবহ বন্যায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।

মৌলভীবাজারের বন্যা-ভাঙন আতঙ্কে মনু ও ধলাই নদীপাড়ের মানুষ
মৌলভীবাজারের মনু ও ধলাই নদীর পাড়ের মানুষ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও বেড়িবাঁধের অসম্পূর্ণ কাজের কারণে বন্যা এবং নদী ভাঙনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে ঘরবাড়ি ও ফসল নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কায় এলাকাবাসী চরম উদ্বেগে রয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জানান, নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকলেও শিগগিরই বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হবে। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, জমি অধিগ্রহণের টাকা বরাদ্দ পেলে স্থায়ী সমাধান নেয়া হবে।

থেইন বাঁধ দিয়ে পানি ছেড়েছে ভারত, সেনাবাহিনী মোতায়েন চায় পাঞ্জাব
থেইন বাঁধ দিয়ে রাভি নদীতে ভারত পানি ছেড়ে দেয়ায় পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে জারি করা হয়েছে উচ্চ বন্যা সতর্কতা। এরইমধ্যে নদী তীরবর্তী দেড় লাখের বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। লাহোর, ফয়সালাবাদ ও শিয়ালকোটসহ ৬টি জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের আবেদন জানিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। এদিকে ভারতের জম্মু কাশ্মীরের বিষ্ণু দেবী মন্দিরের পাশে ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভূমিধসে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩০জন।

‘উপদেষ্টারা মুখে আশ্বাস দিলেও এক বছরে ফেনীর জন্য কিছুই করেননি’
২০২৪ সালের শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার এক বছরের স্মৃতিচারণ এবং এর স্থায়ী সমাধানে করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বক্তারা জানান, ভৌগোলিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফেনী জেলা গত ১৬ বছরের মত এখনও অবহেলিত, এক বছরে দুবার ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত হলেও রেমিট্যান্স সমৃদ্ধ এ জেলার মানুষের জন্য তেমন কিছুই করেনি অন্তর্বর্তী সরকার। উপদেষ্টারা মুখে আশ্বাস দিলেও এখনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি বলেও জানান তারা।

ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিখাত; শঙ্কা নিয়েই আবাদে নেমেছেন কৃষক
চলতি বছর তিন দফার বন্যায় চরম ক্ষতির মুখে ফেনীর কৃষিখাত। নষ্ট হয়েছে শতকোটি টাকার ধান, ফসল। সেই ক্ষতচিহ্ন ও ফের বন্যার শঙ্কা নিয়েই আমন ধানের আবাদ করতে কৃষক মাঠে নেমেছেন। আর এবারের আবাদে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার আশা কৃষি বিভাগের।