
নেপালে টিম হোটেলে বাংলাদেশ ফুটবল দল, শেষ করেছে জিম সেশন
রাজনৈতিক উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই নেপালে টিম হোটেলে অবস্থান করছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সেখানেই জিম সেশন শেষ করেছেন ফুটবলাররা।

নেপালের জেন-জিরা বলছেন, ‘আন্দোলন ছিনতাই হয়ে গেছে’
নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে জেন-জির শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে তীব্র আকার ধারণ করে, যা অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় রূপ নেয়। দেশটি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অস্থিরতার মুখোমুখি হয়। এরইমধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিতে টহল শুরু করেছে সেনাবাহিনী। দু’দিনের আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ২০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছে।হতাহতের এসব ঘটনাতে আরও উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

নেপালের রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে সাত দশকেরও বেশি সময়
আদতে শান্তিপূর্ণ জাতি হলেও নেপালের রাজনীতিতে অস্থিরতা চলছে সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে। শক্তিশালী প্রতিবেশি চীন ও ভারতের লাগোয়া এ দেশটিতে ২০০৮ সালের পর গেল ১৭ বছরে ১৪টি সরকার গঠিত হয়েছে। যার একটিও পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি।

নেপালে শুক্রবার পর্যন্ত কারফিউ বাড়িয়েছে সেনাবাহিনী
পদত্যাগের একদিন পরও জানা যায়নি নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির অবস্থান। দেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়ে কারফিউ এর মেয়াদ আগামী শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত বাড়িয়েছে সেনাবাহিনী। রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিশেষ অভিযান চালিয়ে সহিংসতা ও লুটপাটের ঘটনায় এরইমধ্যে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনারা। কিছু জায়গায় এখনও বিক্ষিপ্তভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্র-জনতা। এদিকে সহিংস বিক্ষোভে হতাহতের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। নেপালের ঘটনাকে হৃদয়বিদারক বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

নেপালজুড়ে মব আতঙ্ক, সেনাবাহিনীর কঠোর অবস্থানের হুঁশিয়ারি
কাঠমান্ডুসহ নেপালজুড়ে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেমেছে সেনাবাহিনী। মৃত্যুর মিছিল, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহ চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। কেপি শর্মা অলির পদত্যাগের পর আন্দোলন শান্ত করার দায়িত্ব এখন সেনাদের কাঁধে। দেশজুড়ে কারফিউ জারি করে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মবের নামে লুটপাট, ভাঙচুর কিংবা হামলার ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রয়োজনে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেবে নেপাল সেনাবাহিনী; কারাগার ভেঙে পালিয়েছে শত শত বন্দি
নেপালে বিক্ষোভকারীরা পরিস্থিতিরি সুযোগ নিয়ে ক্ষয়ক্ষতি, লুটপাট ও সরকারি-বেসরকারি ভবনে আগুন দিচ্ছে উল্লেখ করে একটি বিবৃতিতে সেনাবাহিনী বলেছে, এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে ‘সেনাবাহিনীসহ সমস্ত নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কারাগার ভেঙে পালিয়েছে শত শত বন্দি।

নেপালে অবস্থানরত ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার
নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। নেপালে চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতির কারণে জাতীয় ফুটবল দলের দেশে প্রত্যাবর্তন সাময়িকভাবে বিলম্বিত হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দলের দেশে ফেরার কথা থাকলেও পরিস্থিতির অবনতির কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সব ফ্লাইট বাতিল করে। ফলে দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা বর্তমানে টিম হোটেলে অবস্থান করছেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাঠমান্ডু ফ্লাইট স্থগিত
নেপালে উদ্ভূত পরিস্থিতি, নিরাপত্তাজনিত ও নেপাল সরকারের ফ্লাইট পরিচালনার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আজকের ঢাকা–কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইটটি স্থগিত করা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এ বি এম রওশন কবীরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।

রবি লামিছানেকে নেপালের কারাগার থেকে মুক্ত করলো বিক্ষোভকারীরা
নেপালের ন্যাশনাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টির সভাপতি রবি লামিছানেকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছে বিক্ষোভকারীরা।

প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন নেপালের রাষ্ট্রপতি
জেন-জির বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পোউডে। তবে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাকে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর) তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।

নেপালে পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়ায় দেশে ফেরেনি ফুটবল দল, হোটেলেই অবস্থান
নেপালের চলমান পরিস্থিতির কারণে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী দেশে ফেরা হচ্ছে না বাংলাদেশ ফুটবল দলের। আজ (মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর) তাদের দেশে ফেরার কথা থাকলেও নেপালে টিম হোটেলেই অবস্থান করছেন তারা।

এক দশকে নেপালে গৃহযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার মানুষ
৩ কোটি জনসংখ্যার দেশ নেপালে গেল এক দশকের গৃহযুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১৬ হাজার মানুষ। ২৩৯ বছরের রাজতন্ত্র বিলুপ্ত করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপ নিলেও, কাটেনি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট। দেশটির তরুণ প্রজন্মের প্রায় ২১ শতাংশ এখনো বেকার। এছাড়াও, নেপালের জিডিপির তিন ভাগের এক অংশ আসে প্রবাসী আয় থেকে। মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি জেন-জি বা তরুণ প্রজন্ম, যারা সবসময়ই সরকারের দুর্নীতি ও দুর্বল অর্থনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল।