
পাঠ্যপুস্তকে আল মাহমুদের লেখা পুনর্বহালের দাবি, চার গবেষককে পদক
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি, নজরুল গবেষক মো. জেহাদ উদ্দিন বলেছেন, 'গেল পনেরো বছরে আক্রোশের বশবর্তী হয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার আল মাহমুদের অনেক কবিতা পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিয়েছে। এমনকি ভাষা আন্দোলন নিয়ে কবির বিখ্যাত কবিতাটিও বাদ দেয়া হয় পাঠ্যপুস্তক থেকে। তাই জুলাই অভ্যুত্থানের পরের বাংলাদেশে নজরুলের পাশাপাশি কবি আল মাহমুদের সাহিত্যকে পাঠ্যপুস্তকসহ উচ্চশিক্ষায় ছড়িয়ে দিতে হবে।'

সাংবিধানিকভাবে নজরুলকে জাতীয় কবি করার দাবি
স্বাধীনতা যুদ্ধের মতো জুলাই বিপ্লবের ভাষাও ছিল নজরুলের গান-কবিতা। ছাত্র-জনতার রাজপথে বুক উঁচিয়ে নামতে যার প্রভাব ছিল অসামান্য। '২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে আমাদের নজরুল' শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন, নজরুল গবেষক আব্দুল হাই শিকদার। এসময় আলোচকদের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে নজরুলকে জাতীয় কবি হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়টি নিয়েও কাজ করবে সংবিধান সংস্কার কমিশন।’

নজরুলের অসাম্প্রদায়িক ভাবনা ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান
প্রেম ও বিদ্রোহের কবি হয়ে কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর গানের চরণের মতোই বাংলা ভাষাভাষীর হৃদয়ে বেঁচে আছেন, থাকবেন। ২০০৬ সালে তার বর্ণাঢ্য কৈশোরকে আগলে ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রতিষ্ঠা করা হয় তার নামে বিশ্ববিদ্যালয়। গড়ে উঠেছে নজরুল স্মৃতি কেন্দ্র ও জাদুঘর। গবেষকরা বলছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান কবিতার পাশাপাশি তার অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারা ছড়িয়ে দিতে হবে নতুন প্রজন্মের কাছে।