আসাদ সরকার
ক্ষমতার লোভে বুঁদ হয়ে ছিলেন বাশার আল-আসাদ

ক্ষমতার লোভে বুঁদ হয়ে ছিলেন বাশার আল-আসাদ

প্রেসিডেন্ট বাবা হাফিজ আল-আসাদের সংস্পর্শে থেকে ক্ষমতার লোভে বুঁদ হয়ে ছিলেন বাশার আল-আসাদও। ২৯ বছর দেশের ক্ষমতা ধরে রাখা বাবার মৃত্যুর পর ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট পদে স্থলাভিষিক্ত হন বাশার। বিরোধী মত দমনের মধ্য দিয়ে ২০০৭ সালের পর জনগণের কাছে ধীরে ধীরে স্বৈরশাসক হিসেবে আবির্ভূত হন তিনি। ২০১১ সালে যা রূপ নেয় গৃহযুদ্ধে। অবশেষে আসাদ সরকার বিরোধী হায়াত তাহরির আল শামের বিদ্রোহীদের টানা ১২ দিনের শহর দখল অভিযানে আল-আসাদ পরিবারের ৫৩ বছরের শাসনামলের অবসান হলো।

দামেস্ক ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ

দামেস্ক ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ

অবশেষে ২৪ বছর পর আসাদ সরকারের পতন! চূড়ান্ত আঘাত হানলো সিরিয়ার বিদ্রোহীরা। পৌঁছে গেছে রাজধানী দামেস্কে। বিমানে করে রাজধানী ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। দামেস্কের প্রবেশপথে চলছে তীব্র গোলাগুলি। সরকারি রেডিও-টিভির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহীরা। আর এরই মধ্যে ইরাক সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় দু'হাজার সিরিয়ান সেনা।

এবার সিরিয়ার হামা শহর দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা

এবার সিরিয়ার হামা শহর দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা

আলেপ্পোর পর এবার সিরিয়ার আরেক গুরুত্বপূর্ণ শহর উত্তরাঞ্চলীয় হামা দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। এতে, আসাদ সরকারের পাশাপাশি কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে মিত্ররাষ্ট্র ইরান আর রাশিয়ার। হামার পর এবার কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আরেক শহর হোমস দখলের পথে বিদ্রোহীরা। যদিও সিরিয়ার সেনাবাহিনী বলছে, এই দখল সাময়িক। অন্যদিকে, বিদ্রোহীগোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শামের দাবি, হামার পুরো নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে। এই ঘটনায় সিরীয়দের একাংশ সন্তোষ প্রকাশ করলেও বড় সংঘাতের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন সাধারণ বাসিন্দারা।

আলেপ্পোর পর সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশও বিদ্রোহীদের দখলে

আলেপ্পোর পর সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশও বিদ্রোহীদের দখলে

আলেপ্পোর পর সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশও দখল করে নিলো বিদ্রোহীরা। এগোচ্ছে হামার দিকে। বিদ্রোহীদের হঠাৎ আগ্রাসী আক্রমণে তিনদিনে নিহত ৩শর বেশি মানুষ; কোণঠাসা সিরীয় সেনাবাহিনী ছেড়ে দিয়েছে আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ। বিদ্রোহীদের দমনে মিত্র রাশিয়ার সহযোগিতায়, দীর্ঘ আট বছর পর বিমান হামলা চালিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেনা আসাদ সরকার। প্রশ্ন উঠেছে, গাজা-লেবাননের পর ইসরাইলি আগ্রাসনের পরবর্তী লক্ষ্য কি সিরিয়া?