সুরমা-কুশিয়ারা-নদী
বন্যা পরিস্থিতিতে কিছুটা উন্নতি হলেও তলিয়ে আছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল
দেশের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখনও সিলেটে নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি তলিয়ে আছে। সুনামগঞ্জের সুরমা ও কুশিয়ারার পানি কমলেও আতঙ্ক কাটেনি হাওর অঞ্চলের মানুষদের। এদিকে, ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে এখনও লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। অন্যদিকে, কুড়িগ্রামে নিম্নাঞ্চলের ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী সহস্রাধিক পরিবার।
আবারও বিপৎসীমার ওপরে সুরমার পানি
ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারও বাড়ছে সুনামগঞ্জের সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটাসহ সকল নদ-নদীর পানি। এরই মধ্যে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেই সাথে ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক। আর এতে আবারও বন্যা আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় সময় পার করছেন ভাটির জেলার ২৫ লাখ মানুষ।
বিপৎসীমার ওপরে সুরমা-কুশিয়ারা-গোয়াইনের পানি, পানিবন্দি ৩ লাখ ৭১ হাজার মানুষ
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি প্রতিনিয়তই অবনতি হচ্ছে। অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল চলমান থাকায় বাড়ছে সব নদ-নদীর পানি। এরই মধ্যে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও গোয়াইন নদীর পানি বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতিতে অবনতির আশঙ্কায় জেলাবাসী। সিটি কর্পোরেশনসহ ১৩ উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন সংখ্যা ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ। জেলার বরইকান্দি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।