সংবিধান সংস্কার কমিশন: শাহদীন মালিককে বাদ দিয়ে আলী রিয়াজকে দায়িত্ব
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হলো ড. শাহদীন মালিককে। তার পরিবর্তে নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অধ্যাপক আলী রিয়াজকে। এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
যে কারণে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা
'গণতন্ত্রের প্রতি যাদের দায়বদ্ধতা আছে, তাদের নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে'
স্বাধীনতার পর থেকে এ যাবৎ যত নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে, বেশিরভাগই নিয়োগে পেয়েছে দলীয় বিবেচনা। ফলে প্রায় প্রতিটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এমনকি সৎ আদর্শিক রাজনীতিবিদরা নির্বাচিত হয়ে সংসদে যেতে পারেননি। এমনটাই মনে করেন নির্বাচন বিশ্লেষক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা। নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সবশেষ করা আইনটিও ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে এই আইন বাতিল কিংবা পুনর্লিখনের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সংবিধানের পরিবর্তন না হলে আরও বড় স্বৈরাচার আসবে!
রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে সংবিধান সংস্কারের জন্য ড. শাহদীন মালিককে প্রধান করে একটি কমিশনের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, গণবিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য স্বৈরাচার আমলে ব্যাপক কাটা ছেড়ার শিকার হওয়া সংবিধানের পুনর্লিখন প্রয়োজন। সংবিধানের মৌলিক কাঠামোতে পরিবর্তন আনা না গেলে, ভবিষ্যতে আরও বড় স্বৈরাচার ফিরে আসার শঙ্কাও করছেন তারা। কিন্তু অনির্বাচিত একটি সরকারের নেতৃত্বে এই সংস্কার কতটা সম্ভব?