
মিয়ানমারে ২৬৫টি অঞ্চলে নির্বাচনের আয়োজন; সমালোচনার মুখে জান্তা সরকার
মিয়ানমারের ৩৩০টি প্রশাসনিক এলাকার মধ্যে তিন ধাপের ২৬৫টি প্রশাসনিক অঞ্চলে নির্বাচনের আয়োজন করে সমালোচনার মুখে জান্তা সরকার। ভোট আয়োজনের মধ্যেও সামরিক অভিযান জোরদারের ঘোষণা দিয়ে আরও বেশি প্রশ্নবিদ্ধ মিন অং লাইং প্রশাসন। এ অবস্থায় নির্বাচনকে কমেডি শো বলে মন্তব্য করছেন পালিয়ে রক্ষা পাওয়া মিয়ানমারের তরুণরা।

মিয়ানমারের নির্বাচন: ভোটদানে জান্তা সরকারের জবরদস্তি, গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন
ডিসেম্বরে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে জনগণকে জোরপূর্বক ভোটদানে বাধ্য করতে যাচ্ছে দেশটির জান্তা সরকার। গত শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন। পাশাপাশি, ইভিএম পদ্ধতিকে প্রভাবিত করতে সামরিক সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ সংস্থাটির। এছাড়া এবারের নির্বাচনে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল অংশ না নেয়ায় এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে অনেক মানবাধিকার সংগঠন। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে ভয়াবহ মানবিক সংকটের কবলে মিয়ানমার।

মিয়ানমারে জান্তা সরকারের দেয়া নির্বাচনের ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন আন্তর্জাতিক মহলে
মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য জান্তা সরকার সাড়ে চার বছরের জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করলেও এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, দেশটির বিরোধী দলগুলোর অধিকাংশ নেতাই যখন কারাবন্দি তখন এ নির্বাচন কীভাবে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে তা পরিষ্কার নয়। এছাড়া জান্তা সরকারের সঙ্গে চীনের সখ্যতা ও স্বার্থরক্ষা নিয়েও বিভাজন আছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে।