বেড়িবাঁধ
অরক্ষিত অবস্থায় পিরোজপুরের ৪৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ

অরক্ষিত অবস্থায় পিরোজপুরের ৪৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ

দীর্ঘদিনেও হয় নি মেরামত

সিডর, আইলা, রিমালের মতো শক্তিশালী ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দীর্ঘদিনেও মেরামত হয়নি পিরোজপুরের বেড়িবাঁধ। জেলার অন্তত ৪৫ কিলোমিটার বাঁধ অরক্ষিত অবস্থায়। টেকসই বাঁধ না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছেন নদীতীরের অসংখ্য মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দাবি সাইক্লোন সহনীয় বাঁধ নির্মাণে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

উপকূলবাসী আজও ভুলতে পারেনি সত্তরের ভয়াল ১২ নভেম্বর

ভয়াল ১২ নভেম্বর আজ। ১৯৭০ সালের এদিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় গোর্কির আঘাতে দক্ষিণাঞ্চলের ১০ লাখেরও বেশি ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩৬ লাখ মানুষ। শুধু ভোলাতেই মারা যায় অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ। সে ঘটনার ৫৪ বছর পার হলেও হয়নি স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।

ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কায় সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ

ঘূর্ণিঝড় 'দানা' সরাসরি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার শঙ্কা না থাকলেও জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ। অন্তত নয়টি পয়েন্টে ছয় কিলোমিটার উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সামান্য জলোচ্ছ্বাসের এসব পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে দুই উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ।

ময়মনসিংহে অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষাধিক মানুষ

অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত ময়মনসিংহের লাখো মানুষ। ধোবাউড়ার নিতাই নদী ও হালুয়াঘাটের বোরাঘাট নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় সীমাহীন বিপর্যয়ে পড়েছেন মানুষগুলো। বসতভিটা, বাড়ি-ঘর, ফসল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গ্রামীণ রাস্তাঘাটের। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধ নির্মাণের ২০ বছরেও হয়নি কোনো সংস্কার। যার খেসারত দিচ্ছেন তারা। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মাটি দিয়ে বেড়িবাঁধ নয়, প্রযুক্তি ব্যবহারের দাবি উপকূলবাসীর

উপকূলীয় এলাকার মানুষের জানমাল রক্ষায় ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচার জন্য ঘূর্ণিঝড় - জলোচ্ছ্বাস সহিষ্ণু বেড়িবাঁধ তৈরি করা প্রয়োজন। এমনই দাবি করেছেন উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা। তীব্র ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় এখন শুধু মাটি দিয়ে নয়, বেড়িবাঁধ নির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, বরিশাল বিভাগে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি পাশ হলে উপকূলবাসী টেকসই বেড়িবাঁধ পাবে।

বিপৎসীমার ওপরে নেত্রকোণার সোমেশ্বরী নদীর পানি

বেড়িবাঁধ রক্ষার চেষ্টা স্থানীয়দের

টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ের ঢলে বাড়ছে নেত্রকোণার কংস সোমেশ্বরী নদীর পানি। বর্তমানে এ নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আবারো ভেঙেছে সাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেড়িবাঁধ

সংস্কারের পর আবারো ভেঙেছে সাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেড়িবাঁধ। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে সদর ও তালা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। সড়ক ও বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ার পাশাপাশি তলিয়ে গেছে শত শত মাছের ঘের। নষ্ট হয়েছে আমন ধান ও সবজি খেত। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা স্থানীয়দের।

সাতক্ষীরা সীমান্তের ইছামতি নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন, আতঙ্কে এলাকাবাসী

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের সীমান্ত নদী ইছামতির সোলপুর এলাকায় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।

ভারী বৃষ্টি হলেই নদীর পানি বেড়ে ভাঙে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

বর্ষা এলেই আতঙ্কে দিন কাটে ফেনী জেলার নদী তীরবর্তী জনপদের বাসিন্দাদের। ভারী বৃষ্টি হলেই নদীর পানি বেড়ে ভাঙে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। লোকালয়ে প্রবেশ করে পানি। ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকার ফসলি জমি, নদীগর্ভে বিলীন হয় শেষ সম্বল। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর করতে ৮শ' কোটি টাকার প্রকল্প নেয়ার কথা বলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

আজ দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছে উপকূলের জেলাগুলো। ক্ষতি হয়েছে বেড়িবাঁধ, মৎস্য, কৃষি, শিক্ষা, সড়ক ও বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায়। আজ (বৃহস্পতিবার, ৩০ মে) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

খুলনার ৫৫টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত অসংখ্য গ্রাম

খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার অন্যতম কারণ দুর্বল বেড়িবাঁধ। লোকালয় বাঁচাতে নিজ উদ্যোগে বাঁধ সংস্কারের কাজ করছেন স্থানীয়রা। দ্রুত বাঁধ সংস্কার না করতে পারলে ক্ষতি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। খুলনার ৫৫টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে ও উপচে প্লাবিত হয়েছে অসংখ্য গ্রাম। এর মধ্যে ৩২টি পয়েন্টে ১.৭০৫ কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। আর ২৩টি পয়েন্টের ৩.৬৮৮ কিলোমিটার বাঁধ ওভারফ্লো হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় চার লাখ মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ৬১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত

ঘূর্ণিঝড় রিমালে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের ৬১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫টি স্থানে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকে গেছে লবণ পানি। নোয়াখালীতে ভেসে যায় কয়েক কোটি মাছের ঘের। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলীয় ৪ উপজেলার গবাদি পশু। পানিতে ধসে গেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ৫০ ফুট বেড়িবাঁধ। এছাড়া জেলার মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে কলাপাড়ায় আড়াইহাজার পুকুর, ৪৬৫ টি মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।