উপকূলবাসী আজও ভুলতে পারেনি সত্তরের ভয়াল ১২ নভেম্বর
ভয়াল ১২ নভেম্বর আজ। ১৯৭০ সালের এদিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় গোর্কির আঘাতে দক্ষিণাঞ্চলের ১০ লাখেরও বেশি ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩৬ লাখ মানুষ। শুধু ভোলাতেই মারা যায় অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ। সে ঘটনার ৫৪ বছর পার হলেও হয়নি স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
বন্যায় ফেনীতে ৫০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি
গত দু'দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি ফেনীর ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষি ও মৎস্য খাত। সঠিক হিসাব না পেলেও স্থানীয়দের মতে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ক্ষতির শিকার হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। টাকার অঙ্কে যা ৫০ কোটির বেশি।
একমাসের ব্যবধানে আবারও বন্যার কবলে ফেনী
মাত্র একমাসের মাথায় আবারও বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ১৫টি স্থান ভেঙে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। দুটি উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ২০ হাজার পরিবার। বন্যার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দুষছেন দুর্গত এলাকার মানুষ।
আবারও ভাসছে সুনামগঞ্জ-সিলেট, পানিবন্দি প্রায় ১০ লাখ মানুষ
ভারি বৃষ্টির কবলে পুরো দেশ। সুরমা-কুশিয়ারা পানি বাড়ায় আবারও ভাসছে সুনামগঞ্জ-সিলেট। পানিবন্দি প্রায় ১০ লাখ মানুষ। সবচেয়ে বেশি পানি বেড়েছে শেরপুরের চেল্লাখালী নদীর। অন্যদিকে বান্দরবান-রাঙামাটিতে সড়ক ডুবে আটকা পড়েছে বহু পর্যটক। বৈরি আবহাওয়ায় ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় আজকের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত। পানির তোড়ে ভেঙে গেছে মুহুরী ও কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। সুরমায় নৌকাডুবে নিখোঁজ তিনজন।
বন্যা নিয়ন্ত্রণে বিপুল অর্থ ব্যয়ের পরেও স্বস্তি মিলছে না কেন?
একটি বন্যা, হাজারো মানুষের করুন গল্পের নতুন তথ্য। এমনকি ওলট-পালট করে দেয় রাষ্ট্রের অর্থনীতির হিসেব নিকেষকেও। পাল্টে দেয় জলবিদ্যার কৃষি, পুরকৌশল ও জনস্বাস্থ্যের সকল উপাত্তকে। সময় যত যাচ্ছে বন্যার প্রকোপ ততই বাড়ছে বাংলাদেশে। সমানুপাতিক হারে বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে বন্যা নিয়ন্ত্রণে। তারপরও মিলছে না স্বস্তি। কেন এমন পরিণতি? এর সমাধানই বা কি?
ভারী বৃষ্টি হলেই নদীর পানি বেড়ে ভাঙে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ
বর্ষা এলেই আতঙ্কে দিন কাটে ফেনী জেলার নদী তীরবর্তী জনপদের বাসিন্দাদের। ভারী বৃষ্টি হলেই নদীর পানি বেড়ে ভাঙে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। লোকালয়ে প্রবেশ করে পানি। ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকার ফসলি জমি, নদীগর্ভে বিলীন হয় শেষ সম্বল। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর করতে ৮শ' কোটি টাকার প্রকল্প নেয়ার কথা বলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
ভোলায় রিমালের তাণ্ডবে ভেঙে যাওয়া বাঁধ দ্রুত সংস্কারের দাবি
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ক্ষতবিক্ষত ভোলার বিচ্ছিন্ন উপজেলা মনপুরার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। জলোচ্ছ্বাসের চাইতে বাঁধের উচ্চতা কম হওয়ায় স্রোতের তোড়ে ভেঙেছে প্রায় ১৬৫ মিটার বেড়িবাঁধ। জোয়ারের জলে ভেসেছে ৫ ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রাম।