ভারতীয় উজানের পানি ও অতিবৃষ্টির কারণে ফেনীতে সৃষ্ট বন্যায় সবশেষ তথ্য মতে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। মানবিক বিপর্যয়কর ভয়াবহ এই বন্যায় জেলার ৬ উপজেলার ১১ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি ছিল। অনেকেই জোয়ারের পানিতে ভেসে যায়, তবে সে সময় মৃত্যুর সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসমূহ পরিদর্শন করছেন নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান। বন্যা কবলিত ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি ফুলগাজী উপজেলার বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে জনসাধারণের খোঁজ-খবর নেন এবং নৌ কন্টিনজেন্ট, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে মতবিনিময় করেন।

বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের অভাবে ফেনীতে হাহাকার

ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেনী। ১৬ লাখ জনগণের এই জনপদের অধিকাংশ বন্দী বানের জলে। ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বাড়ছে সোনাগাজী ও দাগনভূঞায়। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের অভাবে চারিদিকে হাহাকার।

মাত্র একমাসের মাথায় আবারও বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত ১৫টি স্থান ভেঙে পানি ঢুকছে লোকালয়ে। দুটি উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ২০ হাজার পরিবার। বন্যার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দুষছেন দুর্গত এলাকার মানুষ।

বর্ষা এলেই আতঙ্কে দিন কাটে ফেনী জেলার নদী তীরবর্তী জনপদের বাসিন্দাদের। ভারী বৃষ্টি হলেই নদীর পানি বেড়ে ভাঙে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। লোকালয়ে প্রবেশ করে পানি। ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকার ফসলি জমি, নদীগর্ভে বিলীন হয় শেষ সম্বল। দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর করতে ৮শ' কোটি টাকার প্রকল্প নেয়ার কথা বলছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।