কয়েকদিনের ব্যবধানে বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ ও চালের দাম
গত কয়েক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ ও চালের দাম। বিক্রেতারা বলছেন দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন পর্যাপ্ত না হওয়ার কারণেই দেখা দিয়েছে ঘাটতি। এসব নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় ক্ষোভ ছিল ক্রেতাদের কণ্ঠেও।
ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য: ডিমের ডজন ১৩০, আলুর কেজি ৩০
নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে প্রথমবারের মতো কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু করছে অন্তবর্তী সরকার। ৬৫০ টাকায় ১ ডজন ডিম, ১ কেজি পেঁয়াজ, সবজিসহ সুলভ মূল্যে ১০ ধরনের কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর ২০টি পয়েন্টে। একজন ব্যক্তি মিষ্টি কুমড়া, পটল, লাউসহ ৭টি সবজি কিনতে পারছে। এছাড়া ৫ কেজি আলু ১৫০ টাকা, প্রতি ডজন ডিম ১৩০ এবং প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকায় মিলছে এই প্যাকেজে।
নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শনে ব্যবসায়ীদের ঘোর আপত্তি!
রাজধানীর বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের বাজারের দোকানে মূল্যতালিকা দেখায় না। কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, পণ্য তালিকা নেই অনেক দোকানে। এই তালিকা নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়ে দোকানিদের দাবি- এর সঙ্গে নেই পণ্যের প্রকৃত দাম ও বাস্তবতার মিল। মূল্য তালিকা অনুযায়ী পণ্য বিক্রি নিশ্চিতে নিয়মিত তদারকির দাবি ক্রেতাদের।
বন্যা ও বৃষ্টির প্রভাবে দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে
বন্যা আর টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে। বেড়েছে আদা, রসুন, কাঁচা মরিচসহ সবজির দাম। সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে মাছের দামও। উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই বাজারে মধ্য ও নিম্নবিত্তরা আরেকদফা চাপে পড়েছেন পণ্যমূল্যের এমন উর্ধ্বগতিতে।
কৃষি বাজেটের ভর্তুকি দাঁড়াবে ২৫ হাজার কোটিতে!
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে প্রাধান্য পাবে ব্যয় সংকোচন নীতি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে হাতে নেয়া হতে পারে নানামুখী উদ্যোগ। তবে, প্রাধান্য পাবে কৃষি খাত। ভর্তুকির ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়াবে ২৫ হাজার কোটি টাকায়। কৃষি রা বলছেন, কৃষি বীমা চালুর পাশাপাশি উৎপাদন বাড়াতে প্রণোদনা বৃদ্ধিসহ ভোক্তাপর্যায়ে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখাই হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
‘চালের দাম স্থিতিশীল, হিমাগারে ডিম মজুদের খবর পাচ্ছি’
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, বোরোতে উৎপাদন ভালো হয়েছে। চালের কোনো ঘাটতি নেই এবং দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ডিম হিমাগারে মজুদ করা হচ্ছে, এ বিষয়ে তদারকি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নতুন পোশাকের পাশাপাশি দাম বেড়েছে কাঁচাবাজারেও
ঈদে নতুন পোশাক থেকে প্রসাধনী সবই কেনা যখন শেষের দিকে তখন ঈদের জরুরি নিত্যপণ্যে নজর ক্রেতাদের। ভিড় বেড়েছে সেমাই, লাচ্ছা, কিশমিশ, গুঁড়ো দুধসহ মিষ্টান্নের বাজারে। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মুরগি ও গরুর মাংস।