ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ইরানকে মাশুল গুণতে হবে, হুঁশিয়ারি ইসরাইলের
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ইরানকে মাশুল গুণতে হবে, হুঁশিয়ারি ইসরাইলের। আর ইসরাইল পালটা হামলা চালালে আরও শক্ত জবাব দেয়ার হুমকি ইরানের। এ অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
নতুন মোড় নিচ্ছে লেবানন-ইসরাইল সংঘাত!
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে হামাসকে সমর্থন দিয়ে ইসরাইল সীমান্তে কয়েক দফায় রকেট হামলা চালায় ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। বৈরুতকে কয়েক দফায় সতর্ক করলেও লেবাননের দক্ষিণ সীমান্তে ইসরাইলি সেনা ও হিজবুল্লাহর মধ্যে চলতে থাকতে হামলা-পাল্টা হামলা। গেল ১৭ সেপ্টেম্বর সিরিজ পেজার বিস্ফোরণের পর লেবানন-ইসরাইল সংঘাত অন্যদিকে মোড় নিতে যাচ্ছে বলে শঙ্কা করছিলেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
নেতানিয়াহু প্রশাসন বিরোধী আন্দোলন চরমে
গাজায় সবশেষ ছয় জিম্মি নিহতের খবরে তেলআবিব থেকে ইসরাইলের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। ধরপাকড় চালিয়েও আন্দোলনকারীদের দমাতে পাড়ছে না পুলিশ। বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু প্রশাসন বিরোধী আন্দোলন চরম পর্যায় পৌঁছানোয় তেলআবিবের বিমানবন্দর দুই ঘণ্টা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে হামাসকে দায়ী করে ইসরাইলি জনগণকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। এদিকে গাজার পাশাপাশি অধিকৃত পশ্চিম তীরেও অভিযান জোরালো করেছে ইসরাইলি বাহিনী।
সেনা ও বাসিন্দাদের বাঁচাতে সংগ্রহ করা হচ্ছে রক্ত
সম্ভাব্য নতুন যুদ্ধের দামামায় উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। ইরানের হামলা আতঙ্কে সবদিক থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে তেলআবিব। আহত সেনা ও বাসিন্দাদের বাঁচাতে যেনো রক্ত সংকট দেখা না দেয়া, তার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে রক্ত। এমনকি গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ জোরদার করা হয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
![বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়](https://images.ekhon.tv/Israel protest in USA Universities-320x223.webp)
বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়
গাজায় ইসরাইলি সেনা অভিযানের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সপ্তাহজুড়ে বিক্ষোভে শত শত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইসরাইলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি তেলআবিবের সঙ্গে সম্পর্কিত সব তহবিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।