
ইসলামি দলগুলোর এক বাক্সে ভোট হবে: ডা. তাহের
জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, আগামী নির্বাচনে ইসলামি দলগুলোর এক বাক্সে ভোট হবে। ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উচ্চকক্ষে পিআরে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আজ (সোমবার, ৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অফিসে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি নির্ধারণে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত-বিএনপির কাছে রাজনীতির 'ডি ফ্যাক্টর' হয়ে উঠেছে ইসলামী দলগুলো
দেশের ইতিহাসে যেকোনো সময়ের চেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করছে ইসলামী দলগুলো। আলোচনায় আছে, আসন্ন নির্বাচনে ইসলামী শক্তির আসন সমঝোতার গুঞ্জন। কিন্তু বিএনপির নির্বাচনি রাজনীতির বিপরীতে এই জোট কতটা কার্যকর হবে? এর জবাব অনেকটাই নির্ভর করছে কওমি ঘরানার দলগুলোর ওপর। কওমি ধারার আলেম মামুনুল হক বলছেন, তারা এখন এক মধুর বিড়ম্বনায়। আর এক্ষেত্রে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের মতো আলেমদের সঙ্গে ঐক্য গড়ার ক্ষেত্রে আশাবাদী দেখা যাচ্ছে বিএনপির নীতিনির্ধারকদেরও।

রাজধানীতে ইসলামি দলগুলোর একযোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি
ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনসহ কয়েক দফা দাবিতে রাজধানীতে একযোগে বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামি আন্দোলনসহ ৭টি দল। আজ (বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে দলগুলো।

আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথে সংস্কারের দাবি: মাঠে নামছে ইসলামী দলগুলো
আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথে গড়াচ্ছে সংস্কারের দাবি। এ নিয়ে এবার স্পষ্ট মেরুকরণ রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে। একই দাবিতে এবার হাজির হচ্ছে ইসলামী দলগুলো। নেতারা এর যৌক্তিকতায় বলছেন, ঐকমত্য কমিশন থেকে হতাশ হয়ে রাজপথের কর্মসূচির মাধ্যমে জনতার কাছে যেতে চান তারা। আর বিএনপি বলছে, এসব দাবির বিপরীতে দলীয় অবস্থান ও জবাব তারা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি মেনেই দেবেন। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলন কি বিকল্প কিছু অর্জনের চাপ নাকি ভোট সামনে রেখে নির্বাচনি জোটের প্রস্তুতি? দিন-তারিখ, কর্মসূচি কিংবা দাবি সবই এক, কিন্তু ঘোষণা আলাদা আলাদা।

'ইসলামী দলগুলোকে যেন কেউ ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে'
খেলাফত মজলিসের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বললেন, স্বৈরাচারের পতন হলেও, চালিয়ে যেতে হবে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই। ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ঠেকাতে রাজপথের ঐক্য ধরে রাখার ওপরও জোর দেন তারা। জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, 'আর কোনো ইসলামী দলগুলোর মাথার উপর কাঁঠাল ভেঙ্গে না খেতে পারে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।'