
চার বছরে গড়ালো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, নতুন মাত্রায় ভূ-রাজনীতি
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ তিন বছর পেরিয়ে সংঘাত গড়ালো চতুর্থ বছরে। এই তিন বছরে বিশ্বের ভূ-রাজনীতি পৌঁছেছে নতুন মাত্রায়। কিয়েভের হিসেব মতে, প্রাণ গেছে ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষের। আহত হয়েছেন প্রায় চার লাখ। এতকিছুর পরেও কবে যুদ্ধ শেষ হবে, মিলছে না সে উত্তর।

ইউক্রেন পুনর্গঠনে জব্দকৃত ডলার ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারে রাশিয়া
ইউরোপে জব্দকৃত ৩০ হাজার কোটি ডলার সম্পদ ইউক্রেন পুনর্গঠন কাজে ব্যবহারের জন্য সম্মতি দিতে পারে রাশিয়া। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি জানিয়েছে রাশিয়ার কয়েকটি সূত্র।

ব্রিকসভুক্ত দেশের ওপর দেড়শ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি ট্রাম্পের
ডলারকে ধ্বংস করতে চাইলে ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর ওপর দেড়শ শতাংশ শুল্কারোপ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউরোপের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে ট্রাম্পের বুলি আওড়াচ্ছেন মার্কিন নিরাপত্তা পরিষদ আর ন্যাটো। জুনের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে শতভাগ ব্যয় নিশ্চিত করার সময়সীমা দেয়া হয়েছে ন্যাটো সদস্য দেশগুলোকে। এদিকে, অভিবাসন আর ইউক্রেন ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করে বাইডেন প্রশাসনকে তুলোধোনা করলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের নীতি: ফাটল ধরতে পারে চীন-রাশিয়ার সম্পর্কে
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের নীতি ফাটল ধরাতে পারে চীন-রাশিয়ার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রয়োজনে পুতিনকে সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে রাজি হলেও, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মস্কোর মিত্র হিসেবে চীনা প্রেসিডেন্টকে রাখার ঘোর বিরোধী ট্রাম্প। এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করলেও ইউক্রেন ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান অপরিবর্তিত রেখেছে বেইজিং।

জেলেনস্কিকে কড়া বার্তা ট্রাম্পের
ট্রাম্পের সমালোচনা না করে, ৫০ হাজার কোটি ডলারের খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে কড়া বার্তা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এর পরপরই সুর নরম করে জেলেনস্কি বলেন, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি সইয়ে রাজি তিনি। এদিকে যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে পুতিনের প্রতি দুর্বল না হতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান ফরাসি প্রেসিডেন্টের।

ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে স্বৈরশাসক বলে সতর্কবার্তা ট্রাম্পের
দ্রুত শান্তি আলোচনায় না আসলে ইউক্রেনকে হারাতে হবে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে স্বৈরশাসক বলে এমন সতর্কবার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সৌদিতে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনায় যোগ দিতে জেলেনস্কিকে আমন্ত্রণও জানান তিনি। এদিকে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই নেতার ব্যক্তিগত আক্রমণ মার্কিন নীতিতে খুব একটা পরিবর্তন আসবে না।

ট্রাম্পের কূটনৈতিক চালে অস্তিত্ব রক্ষার ডামাডোলে পড়বে ইউরোপের দেশগুলো!
যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় ট্রাম্প রাশিয়াকে যেভাবে প্রাধান্য দিচ্ছেন, তাতে ইউক্রেনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ইউরোপও। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ট্রাম্পের কূটনৈতিক চালে অস্তিত্ব রক্ষার ডামাডোলে পড়বে ইউরোপের দেশগুলো। যদিও মার্কিন গণমাধ্যম বলছে, ইউরোপকে ছাড়াই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, রাশিয়ার সাথে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করবেন, এটি আগে থেকেই জানতো কিয়েভ। ফলে ইউরোপের স্বার্থ রক্ষার ভার পরোক্ষভাবে হলেও ইউক্রেনকেই নিতে হবে।

ইউক্রেন-ইউরোপের নিরাপত্তা ইস্যুতে ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৈঠকের উদ্যোগ
ইউক্রেন ও ইউরোপের নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় দ্বিতীয় বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছে ফ্রান্স। প্রথম বৈঠকে যেসব দেশ উপস্থিত ছিল না, তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বুধবারের (১৯ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে।

জেলেনস্কির ওপর চটেছেন ট্রাম্প!
কিয়েভকে বাদ দিয়ে ইউক্রেন ইস্যুতে শান্তি আলোচনার বিরোধিতা করায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ওপর চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া আলোচনার প্রথম ধাপের পর, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকেই দোষারোপ করেন তিনি। জানান, চলতি মাসেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠকের কথাও।

কিয়েভের ন্যাটোতে যোগদান মেনে নেবে না মস্কো
ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে উচ্চপর্যায়ের দল গঠন, রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ও পূর্ণ সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত চার ঘণ্টার বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় কিয়েভের ন্যাটোতে যোগদান মেনে নেয়া হবে না বলে জানায় মস্কো। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আলোচনার এক পর্যায়ে ইইউকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

কিয়েভকে বাদ দিয়ে চুক্তি নয়, প্যারিসে ইউরোপীয় নেতাদের জরুরি বৈঠক
কিয়েভকে বাদ দিয়ে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের চুক্তি মানবেন না দেশটির প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেনসহ পুরো ইউরোপকে বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার আলোচনায় বিস্মিত ইউরোপীয় নেতারা সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এ নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন প্যারিসে। কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না এলেও ইউক্রেনে যুক্তরাজ্যের সেনা মোতায়েনের প্রস্তাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে অন্যান্য দেশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, ঐক্যের বার্তা দেয়াই ছিল প্যারিস বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য।

ইউক্রেনকে বাদ দিয়েই যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনকে বাদ দিয়েই যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ (সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রিয়াদে এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্সের প্যারিসে জরুরি বৈঠক করবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। তবে মার্কিন নিরাপত্তা বলয়ে থেকে ইউক্রেনকে কতটুকুই বা সমর্থন করতে পারবেন তারা। তাই বলা হচ্ছে দিনশেষে পাঠার বলি হতে যাচ্ছে ইউক্রেন। এমনটাই ধারণা বিশ্লেষকদের।