ইউক্রেন
পুতিন শান্তিচুক্তির পথে না হাঁটলে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি ম্যাক্রোঁর

পুতিন শান্তিচুক্তির পথে না হাঁটলে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি ম্যাক্রোঁর

ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠককে বেশ ইতিবাচকভাবে দেখছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। এমনকি ট্রাম্পের সঙ্গে বোঝাপড়া ভালো ছিলো বলেও দাবি তাদের। তবে পুতিন শান্তিচুক্তির পথে না হাঁটলে আরও নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর।

ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠক, ৬ মাসের ব্যবধানে পাল্টে গেলো চিত্র!

ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠক, ৬ মাসের ব্যবধানে পাল্টে গেলো চিত্র!

মাত্র ৬ মাসের ব্যবধানে ট্রাম্প-জেলেনস্কির বৈঠকে পুরো ভিন্ন চিত্র দেখা গেলো। গেলো ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে এসে অনেকটা অপদস্থ হয়েছিলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। তবে এবার ট্রাম্পের সঙ্গে বেশ প্রাণবন্ত ও ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন তিনি। স্যুট পরা নিয়ে কটাক্ষের জবাবও দিয়েছেন জেলেনস্কি। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধ বন্ধে সব পক্ষের মধ্যেই এক ধরনের পারস্পরিক বোঝাপড়া লক্ষ্য করা গেছে।

পুতিনের সঙ্গে যেকোনো বৈঠকে রাজি জেলেনস্কি

পুতিনের সঙ্গে যেকোনো বৈঠকে রাজি জেলেনস্কি

জেলেনস্কি-পুতিনের বৈঠক নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে শুরু হতে পারে। এদিকে ১০ দিনের মধ্যেই ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশা করছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ওভাল অফিসে ট্রাম্প-জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ইউক্রেনের নিরাপত্তা এবং পুতিনের সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠক আয়োজন। যদিও ইউরোপীয় নেতাদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে একমত নন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এছাড়া পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিপক্ষীয় যেকোনো ধরনের বৈঠক বসতে রাজি জেলেনস্কি। ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের এক ফাঁকে পুতিনের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প।

ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পক্ষে নই: ডোনাল্ড ট্রাম্প

ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পক্ষে নই: ডোনাল্ড ট্রাম্প

ইউক্রেনে সংঘাত বন্ধে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম ধাপে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এবার সেখানে যোগ দিয়েছেন ইউরোপের নেতারাও। এসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পক্ষে নই। সংঘাত বন্ধে এটি কোনো সমাধান নয়।

রুশ প্রেসিডেন্টকে চিঠি পাঠিয়েছেন মেলানিয়া ট্রাম্প

রুশ প্রেসিডেন্টকে চিঠি পাঠিয়েছেন মেলানিয়া ট্রাম্প

ইউক্রেনের শিশুদের নিরাপত্তার ইস্যুতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। আলাস্কায় বৈঠকের সময় পুতিনের হাতে চিঠিটি পৌঁছে দেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ইউক্রেনে শান্তিস্থাপন নয় বরং ট্রাম্পের সঙ্গে মিত্রতা তৈরিই ছিল পুতিনের লক্ষ্য

ইউক্রেনে শান্তিস্থাপন নয় বরং ট্রাম্পের সঙ্গে মিত্রতা তৈরিই ছিল পুতিনের লক্ষ্য

ইউক্রেনে শান্তিস্থাপন নয়, বরং ট্রাম্পের সঙ্গে মিত্রতা তৈরিই ছিল পুতিনের লক্ষ্য। শক্তিধর দুই নেতার বৈঠকের পর এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ধারণা, আলোচনায় রাজি হওয়ার মাধ্যমে পুতিনকে সুযোগ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কারণ ট্রাম্প মনে করে এটি ছিল অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির বদলে শান্তি স্থাপনের প্রাথমিক ধাপ। আর বিতর্কিত ভূমি বিনিময় প্রস্তাবের কারণে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে ইউক্রেন যুদ্ধ।

রাশিয়া বিশাল শক্তি, ইউক্রেনের উচিত সমঝোতা করা: ট্রাম্প

রাশিয়া বিশাল শক্তি, ইউক্রেনের উচিত সমঝোতা করা: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের উচিত যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া। তার মতে, রাশিয়া একটি বিশাল শক্তি, আর ইউক্রেন সেই শক্তির সমান নয়। আজ (রোববার, ১৭ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আলাস্কায় এক বৈঠকের পর ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে জানান, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধবিরতিতে রাজি আছেন যদি কিয়েভ পুরো দোনেৎস্ক অঞ্চল ছেড়ে দেয়। তবে জেলেনস্কি এ প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় সমাধান আসবে না

ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় সমাধান আসবে না

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক চলাকালে আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে জড়ো হন একদল ইউক্রেনপন্থি মার্কিন নাগরিক। তারা মনে করেন, ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় সমাধান আসবে না। ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক থেকে কোনো সমাধান না আসায় মোটেও অবাক হননি বিক্ষোভকারীরা।

ট্রাম্প-পুতিন মুখোমুখি হলেও ইউক্রেনে শান্তি ফেরার চেয়ে শঙ্কাই বেশি

ট্রাম্প-পুতিন মুখোমুখি হলেও ইউক্রেনে শান্তি ফেরার চেয়ে শঙ্কাই বেশি

ইউক্রেন ইস্যুতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ন্যাটো জোট ও ইউরোপীয় নেতারা। অন্যদিকে, ইউক্রেনকে নিজেদের বলে দাবি করা ছাড়াও রুশ প্রেসিডেন্টের চাহিদার তালিকা বেশ বড়। যেগুলো পূরণ করা মার্কিন প্রেসিডেন্টের একার পক্ষে সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাই ট্রাম্প-পুতিন মুখোমুখি হওয়ার পরও ইউক্রেনে প্রকৃত শান্তি ফেরার ব্যাপারে সম্ভাবনার চেয়ে শঙ্কাই বেশি বলে মনে করছেন অনেকে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে ১৯৯১ সালে ইউক্রেন স্বাধীনতা পাওয়ার পরও ২০১৪ ক্রিমিয়া দখল থেকে বোঝা যায় নিজেদের লক্ষ্য পূরণে ছাড় দিতে নারাজ রাশিয়া।

বৈঠকে সমঝোতা না হলেও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে: ট্রাম্প

বৈঠকে সমঝোতা না হলেও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে: ট্রাম্প

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে কোনো চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শান্তি আলোচনা। যদিও বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন, সংঘাত নিরসনে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা না হলেও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আর রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, সংঘাত বন্ধ করতে হলে আগে যুদ্ধের কারণ অনুসন্ধান করে তা সমাধান করতে হবে। তবে এ ব্যাপারে মস্কোর যথেষ্ট আগ্রহ আছে বলেও মন্তব্য করেন পুতিন। এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে পুতিন ও ট্রাম্পের পরবর্তী সাক্ষাৎ হতে পারে মস্কোয়।

নিজেদের লক্ষ্য পূরণে ছাড় দিতে নারাজ রাশিয়া

নিজেদের লক্ষ্য পূরণে ছাড় দিতে নারাজ রাশিয়া

ইউক্রেন ইস্যুতে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ন্যাটো জোট ও ইউরোপীয় নেতারা। অন্যদিকে ইউক্রেনকে নিজেদের বলে দাবি করা ছাড়াও রুশ প্রেসিডেন্টের চাহিদার তালিকা বেশ বড়। যেগুলো পূরণ করা মার্কিন প্রেসিডেন্টের একার পক্ষে সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাই ট্রাম্প-পুতিন মুখোমুখি হওয়ার পরও ইউক্রেনে প্রকৃত শান্তি ফেরার ব্যাপারে সম্ভাবনার চেয়ে শঙ্কাই বেশি বলে মনে করছেন অনেকে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে ১৯৯১ সালে ইউক্রেন স্বাধীনতা পাওয়ার পরও ২০১৪ ক্রিমিয়া দখল থেকে বোঝা যায় নিজেদের লক্ষ্য পূরণে ছাড় দিতে নারাজ রাশিয়া।

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি ট্রাম্প-পুতিন

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি ট্রাম্প-পুতিন

দীর্ঘ ৩ ঘণ্টা বৈঠকের পর ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যদিও বৈঠকে শেষে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে কোনো চুক্তি না হলেও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।