কিশোরী বয়সের গণ্ডিই এখনও পার হয়নি ওয়ালিজা ও ওয়াদিফার। এরই মধ্যে দাবায় দক্ষতা দেখিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে পদচারণা দুই বোনের।
ওয়ালিজা আহমেদ বলেন, ‘বন্ধুদের মাঝে সবাই অনেক অবাক হয়। অনেকে বিশ্বাসই করে না। সবাই ভাবে যে মশকরা করছি।’
দুজনে প্রায় দশটি দেশে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন। কখনও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের হয়ে কখনও বা পরিবারের সহায়তায়।
ওয়াদিফা আহমেদ বলেন, ‘২০২১ সালে আমি জয়েন করি। আমার বোন ২০২০ সালেই ছিল। ওখানে প্রথম নারী লিগ যেটা হয়, সেখানে নৌবাহিনী থেকে আমরা চ্যাম্পিয়ন হই।’
ফুটবলের শহর ইতালির মিলানে জন্ম। এরপর পরিবারের সিদ্ধান্তে দেশে ফেরা। পড়াশোনার বাইরে দাবার সাথেই সখ্যতা গড়ে তুলেছেন দুই বোন।
জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন, দেশের বাইরেও জিতেছেন পুরস্কার। দু'জনের মধ্যে বড় ওয়ালিজা, যিনি ইতালিতেও অংশ নিয়েছেন প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে। দুই দেশের দাবায় পার্থক্য খোঁজার চেষ্টা তার কাছ থেকেই।
ওয়ালিজা আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন আগে যেভাবে সক্রিয় ছিল আমি শুনেছি, বর্তমানে দেখছি টুর্নামেন্ট কম হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। ইতালির দাবা ফেডারেশনের কথা বলতে গেলে উনারা অনেক টুর্নামেন্ট আয়োজন করে। ফেডারেশনের আওতাভুক্ত না হলেও বিভিন্ন ক্লাবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করে। সেজন্য ওখানে বিভিন্ন ডিস্ট্রিক্টের খেলোয়াড়রা সবাই খেলার সুযোগ পায়। পরে ন্যাশনার প্রতিযোগিতায় সেখানে থেকে এসে সবাই সেন্ট্রালি খেলতে পারে। আমি দেখলাম দেশে এটা কম হয়।’
জাতীয় জুনিয়র দাবায় একই টুর্নামেন্টে ২০২২ ও ২০২৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়ে রেকর্ড গড়েছেন ওয়ালিজা-ওয়াদিফা। তাদের স্বপ্ন তাদের দু'জনের মধ্যেই কেউ হবেন বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক নারী গ্র্যান্ডমাস্টার।
ওয়াদিফা আহমেদ বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখেছি যে আমি বা আমার বোন, আমাদের মধ্যে থেকেই কেউ একজন প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার হবে।’
প্রতিবন্ধকতা আছে, তবে সেই ব্যারিকেড ভেঙে দুই বোন এগিয়ে যেতে চান স্বপ্ন-পূরণের পথে।