মিরপুরের জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে সাঁতারুদের স্বপ্নপূরণে নিরলস পরিশ্রম। কে কম সময়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে সে দিকেই দৃষ্টি প্রতিযোগিদের।
২০০ মিটার ফ্রি স্টাইল, ২০০ মিটার বাটার ফ্লাই এবং ৫০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকসহ সাঁতারের অন্যান্য ক্যাটাগরিতে শক্তি খরচ হয় দ্বিগুণ। সাঁতারুদের শরীরের এই ঘাটতি পূরণে সিনিয়র পর্যায়ে জাতীয় প্রতিযোগিতায় কী ব্যবস্থা রেখেছে সাঁতার ফেডারেশন? তাতে কি সন্তুষ্ট সাঁতারুরা?
একজন সাঁতারু বলেন, 'আমাদের এখানে স্বাস্থ্যকর খাবার দরকার হয়। বিকেএসপিতে যেরকম খাবার পাই, ন্যাশনাল ক্যাম্পে কিন্তু সেরকম স্বাস্থ্যকর খাবার পাই না।'
অন্য একজন সাঁতারু বলেন, 'অনেক হোটেল আছে যেখানে ভেজাল খাবার দেয়। মানে খাবারের মান থাকে না। সেক্ষেত্রে যদি আমাদের হাতে রান্না করা খাবার দেয় সেক্ষেত্রে সেটাতে অনেক বেশি ক্যালরি আর ভেজালমুক্ত থাকে।'
একজন নারী সাঁতারু বলেন, 'নির্ধারিত একটা বাজেট তাকে। তার বাইরে কিছু করতে গেলে অন্যের কমতি হয়ে যাবে। বাজেট একটু বাড়িয়ে দিলে আমরা নিজেদের শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী খেতে পারবো।'
সাঁতারুদের এমন উত্তরে প্রশ্ন ছিল ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়ার কাছে।
সেলিম মিয়া বলেন, 'আমরা ক্যাম্পিংটা এখানে করতে পারছি না। বিকেএসপিতে নিয়ে করছি। শুধু গ্যাসের কারণে যে এখানে গ্যাস কাটা আছে। সেজন্য এখনও আমরা খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে পারিনি। ৭০০ মানুষের খাবার আয়োজন করলে আমরা গেম চালাবো কখন। সেজন্য টাকাটা পেইড করে দেয়া হয়। ৩৫০ টাকা দেই আমরা। তবে আমাদের কাছে আবদার করেছে যারা সেট টাইমে আসবে তাদের জন্য এই টাকা বাড়ানোর জন্য। সেটা আমরা কমিটি বসে আলোচনা করে আমরা হয়তো এটা বাড়ানোর চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।'
ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড না থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এখন সাঁতারুরা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে বাধ্য হওয়ায় বিতর্কে জড়িয়েছে ফেডারেশন। এসব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেও বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েছে দেশের সাঁতারুরা।