গুলিস্তান খেলাধুলা সামগ্রী আর জার্সির স্বর্গরাজ্য। ফুটপাত থেকে শপিং সেন্টার সবখানেই এসবের দোকান।
মোহাম্মদ শাহজাহান, গুলিস্তানের ফুটপাতে দোকান করছেন দীর্ঘদিন। তবে এমন পরিস্থিতি তার কাছে নতুন। ব্যবসায় নেমেছে মন্দা। স্বাভাবিক সময়ে তার দৈনিক আয় ছিল ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা সেটি নেমেছে ৩-৪ হাজারে।
তিনি বলেন, ‘বন্ধ থাকার কারণে আয় কমে গিয়েছে।’
একই অবস্থা দেশের অন্যতম বড় খেলাধুলা সামগ্রীর গুলিস্তান পাইকারি ও খুচরা মার্কেট। সেখানে কমে গেছে বেচাকেনা। দোকানিরা দিনের খরচই তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘আজকে যেমন ১ হাজার টাকা বিক্রি করেছি সেখানে লাভ হবে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর সেখানে ৪ হাজার টাকা প্রতিদিনের খরচ আছে।’
আরেকজন বিক্রেতা বলেন, ‘এই কয়েকদিনে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ঋণ হয়ে গিয়েছে। বিক্রি নেই তেমন।’
তবে কারফিউ শিথিলবস্থায় অনেকেই আসছেন নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে। রাস্তাঘাটে স্বস্তিতেই চলাফেরা করতে পারছেন।
কিছু ক্রেতা কেনাকাটা করতে আসলেও পাইকারি ও ঢাকার বাইরের ক্রেতা সমাগম নেই বললেই চলে। গেল কদিন বন্ধ থাকা অবস্থায় শুধু গুলিস্তান স্পোর্টস মার্কেটের দৈনিক ক্ষতি প্রায় কোটি টাকা বলে জানান মার্কেটের সভাপতি।
গুলিস্থান স্পোর্টস মার্কেটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মতিন বলেন, ‘প্রতিদিন আমাদের ক্ষতি হচ্ছে ১ কোটি টাকার উপরে। পাইকারি ও ঢাকার বাইরের ক্রেতাদের সমাগম কম।’
ব্যবসায়ীক এই ক্ষতি সামলে নেয়ার জন্য দ্রুততম সময়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি চান ব্যবসায়ীরা।