স্বপ্ন ছিল এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার। দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেও গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দলের ব্যর্থতায় সেই সুযোগ আর নেই। বাছাইয়ের দৌড় থেকে ছিটকে গেলেও এখনও দুটি ম্যাচ বাকি বাংলাদেশের। যার মাঝে নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলবেন হামজা-জামালরা।
ভারতের আগে নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। আসন্ন দুই ম্যাচের জন্য গতকাল (শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর) অনুশীলন শুরু করেছেন ফুটবলাররা। ১৪ ফুটবলার নিয়ে শুরু হওয়া প্রস্তুতি ক্যাম্পে ছিলেন না হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। অবশ্য তিনি কোথায় আছেন বা কবে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন, সেটাই জানেন না ফুটবলাররা।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের ডিফেন্ডার রহমত মিয়া বলেন, ‘কোচের বিষয়ে আমরা আসলে জানি না কোচ কবে আসবে। আমরা সবাই একসঙ্গে ভালো প্রিপেয়ার্ড হবো, ইনশাআল্লাহ। আমরা যদি শেষ দুটি ম্যাচ জিতিও আমাদের কষ্ট লাঘব হতে পারে, কিন্তু আমরা আমাদের অলটিমেট গোলটাতে তো যেতে পারবো ন।’
আরও পড়ুন:
ফুটবলাররা না জানলেও দলের সহকারী কোচ জানালেন কোচের খোঁজ। বেশ আগেভাগে ক্যাম্প শুরুর কারণও জানিয়েছেন তিনি।
জাতীয় ফুটবল দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন বলেন, ‘কোচ হয়তো চলে আসবেন। উনি তিন বা চার তারিখে চলে আসবেন। উনি রিসেন্টলি বাবা হয়েছে। শেষ করেই দ্রুত চলে আসবেন। আমাদের প্ল্যান করা আছে যে ভারতের সঙ্গে আমাদের প্ল্যানটা কী হবে। প্রায় অনেক আগে থেকেই রেডি।’
কোচের মতো ভারতকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী দলের অন্য সদস্যরাও। জয় বা ভালো ফলাফল পেতে নিজেদের ঘাটতি নিয়েও কাজ করছেন ফুটবলাররা।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন বলেন, ‘আমাদের মন সলে অনেক খারাপ ছিল। যদিও বাকি ম্যাচগুলোও হারছি। মন খারাপ ছিল, কিন্তু ভারতের বিপক্ষে আসলে খন আমাদের দলের যে কন্ডিশন আমরা জয় ডিজার্ভ করি।’
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে সি গ্রুপে কাগজে-কলমে ভারত সবচেয়ে শক্তিশালী দল। তবে তাদের সঙ্গেই তুলনামূলক ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। আর তাই বাছাই থেকে ছিটকে গেলেও ঘরের মাঠে ভারতকে হারাতে বদ্ধপরিকর মোরসালিনরা।





