যাদের হাত ধরে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি অর্জন তাদের মতামতের কোনো গুরুত্ব নেই বাফুফের কাছে। সিনিয়র নারী ফুটবলারদের এমন অভিযোগে সরগরম বাফুফে ভবন।
কোচ হিসেবে পিটার বাটলারকে কিছুতেই মানতে রাজি নয় নারীরা। প্রয়োজনে নারী ফুটবলারদের অর্ধেকই ভবন ছাড়তেও রাজি।
অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, তারা যদি মনে করে আমরা সিন্ডিকেট করছি। আমরা হচ্ছে দেশের মানুষের জন্য তারা যেটা চাই সেই অবস্থানে যাবো। আমরা সেটাই করবো।
পিটার বটলারের সঙ্গে সাবিনা, মান্ডাসহ দেশের সিনিয়র নারী ফুটবলারদের সম্পর্কের টানাপড়েন বেশ পুরোনো। গেল বছর নেপালে সাফে নারী খেলোয়াড়দের মাঠে না নামানোর দ্বন্দ্বের খবর শিরোপা জেতার খুশির জোয়ারে ঢাকা পড়ে। তবে ইংলিশ এই কোচের সঙ্গে বাফুফে দুবছরের জন্য চুক্তি নবায়ন করায় হতাশায় ডুবেছে নারীরা।
সাবিনা বলেন, ‘আমাদের একটা জিনিস বোঝা উচিত মেয়েরা হচ্ছে আপনাদের দেশের মেয়ে। সামাজিক মাধ্যমে মেয়েদেরকে নিয়ে যেভাবে কথা বার্তা লেখা হচ্ছে সেটা আসলে আমরা ডিজার্ভ করি কিনা আমরা জানি না।’
অনেকদিন ধরে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যানসহ সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের মাধ্যমেও যখন আসেনি কোনো সমাধান তখন প্রমিলা ফুটবলাররা তাকিয়ে আছেন বাফুফের নতুন সভাপতির দিকে।
সাবিনা,রিতুপর্নাদের সাথে ফুটবলের উঠতি তারকা সাগরিকা, স্বর্ণাদের এই আন্দোলন নিশ্চয়ই দেশের ফুটবলের জন্য কোন সুখবর নয়।