ফুটবলের অভিজ্ঞতা নয়, বাফুফে নির্বাচনে দলীয় শক্তি ও আর্থিক সক্ষমতা প্রভাবক হিসেবে কাজ করে এমন অভিযোগ বহুদিনের। বাফুফের এবারের নির্বাচনেও সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত চারজনই ফুটবলের বাইরের প্রার্থী। তবে অভিযোগের বিপরীতে আশার বাণীই শোনালেন সদস্য পদে নির্বাচিত ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ।
বাফুফে সদস্য ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ বলেন, ‘আমাদের ভাইস প্রেসিডেন্টের মধ্যে কোনো খেলোয়াড় নেই। এইটা একটা ভালো দিক। আগামীতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় ভালো কিছু হবে।’
ফুটবলাররা সহ-সভাপতি নির্বাচনে হেরে গেলেও নতুনের জয়গানে সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর পথে হাঁটতে চান সবচেয়ে বেশি ভোটে নির্বাচিত সহ-সভাপতি নাসির শাহরিয়ার জাহেদী। ব্যক্ত করলেন সকলে মিলে কাজ করার আশাবাদ।
সহ-সভাপতি নাসির শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ‘আমরা ৬ জন প্রার্থী ছিলাম সহ-সভাপতি। তাদের মধ্যে চারজন কাগজে কলমে থাকলেও মাঠে ৬ জনকেই দেখা যাবে। আপনারা সেটা দেখতে পারবেন।’
নতুন নীতিনির্ধারক পেল ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু যাদেরকে কেন্দ্র করে এই ফুটবল ফেডারেশন; বাফুফে নির্বাচনের পালাবদলে তাদের প্রত্যাশা কেমন হতে পারে তার খসড়া জানালেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কাজটা তাদের জন্য কঠিন। আর আমরা ফুটবলারদের প্রত্যাশা বেশি। কিছু জায়গায় সংস্কার করলে আমাদের ফুটবলে ভালো কিছু হবে। তৃণমূল জায়গা থেকে তরুণ নিয়ে আসতে পারলে ফুটবল আরও উন্নত হবে।’
উচ্ছ্বাস ও প্রত্যাশার কমতি নেই নির্বাচিত সিনিয়র সহ-সভাপতি থেকে শুরু করে অন্যান্য সদস্যদেরও।
অবশ্য প্রত্যাশা-প্রাপ্তির মধ্যে বিস্তর ফারাক। বিজয়ের মালা পড়েই নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করেছেন আনুষ্ঠানিকতা শেষে। এখন দেখার বিষয় বিজয়মাল্যের ভার কতটা বহন করতে পারেন বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল।