বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে বাজছে নির্বাচনী ডামাডোল। এরই মধ্যে হঠাৎ বাফুফে ভবনে হাজির ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। দায়িত্ব নেয়ার পর এবারই প্রথম ফুটবল ফেডারেশনে আসলেন তিনি।
তবে এদিন নির্বাহী কমিটির কেউ ছিলেন না বাফুফেতে। তাদের না থাকার কারণ অবশ্য জানালেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন, 'আমি বলেছি যে নির্বাহী কমিটির কেউ না থাকাটায় ভালো হয়। আমরা দর্শক হিসাবে বাইরে থেকে যেটা দেখেছি বাফুফে নির্বাচন নিয়ে প্রতিবারই কোনো না কোনো বির্তক থাকে।'
বাফুফে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর আগে কাউন্সিলর ফরম বিতরণ নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের অভিযোগ ছিল। তবে, সবকিছু ছাপিয়ে চূড়ান্ত হয়ে গেছে প্রার্থীর তালিকা। নির্বাচনের আর এক সপ্তাহও বাকি নেই। বহুল প্রতীক্ষিত এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে ক্রীড়া উপদেষ্টার।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলনে, 'নির্বাচনটা আসলে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হবে! ইতিমধ্যে আমি জানতে পেরেছি অনেকে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েও তা প্রত্যাহার করেছে।'
দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেও এবারের মৌসুমে ঘরোয়া ফুটবল লিগ শুরু করতে পারেনি বাফুফে। এর জন্য মাঠ না থাকাকেই মূল প্রতিবন্ধকতা মনে করছেন না ক্রীড়া উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, 'মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে ফুটবলের দিকে যেমন অবহেলা ছিল। এছাড়াও ক্রিকেটের দিকেও অবহেলা ছিল। সেখানে দেখা গেছে বিসিবি অনেক কাজ করে সেটা খেলার উপযোগী রেখেছে।'
কালের পরিক্রমায় বাংলাদেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা কমেছে। তা কমার পেছনে বাফুফে কর্তারাই অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তবে তার ধারণা, নিয়মিত তৃণমূলের ফুটবল নিয়ে কাজ করলে সেই জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধার সম্ভব।