বাবড়ি দুলানো ঝাঁকড়া চুলের ফুটবলার নাম হামজা চৌধুরী। কদিন আগে ভক্তদের করা এক প্রশ্নে বাংলাদেশের হয়ে খেলার ব্যাপারে মাথা নেড়ে সম্মতি জানালে আবারও চাওর হয় হামজার লাল সবুজ জার্সিতে খেলার বিষয়টি।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এ ফুটবলার খেলেন ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির হয়ে। এ গল্প তো পুরনো। সেখানে হামজার চুক্তি রয়েছে ২০২৭ সাল পর্যন্ত। এছাড়া ইংল্যান্ডের বয়সভিত্তিক জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন হামজা চৌধুরী।
ইংল্যান্ডে জন্ম নেয়া ব্রিটিশ এ ফুটবলারের সেখানে বাজার মূল্যও বেশ চড়া। ট্র্রান্সফার মার্কেটের তথ্য বলছে বর্তমান সময়ে হামজার বাজার মূল্য ৫৪ কোটি টাকারও বেশি।
ইংল্যান্ডের এ বিলাস বহুল জীবন ছেড়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলার বিষয়টি কতোটা সম্ভব? এ নিয়ে গণমাধ্যমে অনেকে অনেক তথ্য দিলেও খোদ বাফুফে সভাপতির মন্তব্য সরাসরি জানা যায়নি এতদিন। অসুস্থতা কাটিয়ে তিন মাস পর ফেডারেশনে আসলে কাজী সালাহউদ্দিন নিজেই ব্যাখ্যা দেন হামজাকে বাংলাদেশে আনার বাস্তব চিত্র।
কাজী সালাউদ্দিন বলেন, 'আমাদের অফিস যোগাযোগ করেছে। ও (হামজা) খেলতে চাইলেই খেলতে পারবে না। ওর বর্তমানের ক্লাবের থেকে ক্লিয়ারেন্স নিতে হবে। তারপর তার চাহিদা নিয়েও একটা বিষয় আছে। হামজা খেলতে চাইলে আমরা অবশ্যই তাকে নিবো।'
হামজাকে জাতীয় দলে খেলতে বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগে নিজেকে প্রমাণ করে আসতে হবে কাজী সালাউদ্দিনের নামে এমন এক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টি একেবারেই ভিত্তিহীন বললেন বাফুফে সভাপতি।