ছোট ছোট কিশোরদের চোখেমুখে বড় খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন। নতুন কিছু অর্জনে মুখে একরাশ হাসি ফোটাবার ইচ্ছা। তবে সে উচ্চতায় নিজেদের নিতে পাড়ি দিতে হয় অনেক কঠিন পথ। কখনও সয়ে নিতে হয় স্বপ্ন ভঙ্গের কষ্ট।
তবে স্বপ্নবাজ ফুটবলারদের পাশে বরাবরই সামর্থ্য অনুযায়ী থাকার চেষ্টা করে দেশের বিভিন্ন ফুটবল একাডেমি। কিন্তু অর্থের কারণে অনেক সময় বিভিন্ন আসরে অংশগ্রহণ কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রথমবারের মতো কোটি টাকার ফিফার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাফুফের একাডেমি চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টের আয়োজন হয়ে গেল। যেখানে অংশ নিয়ে রানার্সআপ ট্রফির সঙ্গে অর্ধলাখ টাকা পেয়েছে চট্টগ্রামের রামপুর একাদশ ফুটবল একাডেমি। আর চ্যাম্পিয়ন হয়ে সোনালি রংয়ের শিরোপার সঙ্গে একলাখ টাকার প্রাইজমানি পেয়েছে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ফিরোজ কামাল ফুটবল একাডেমি। এছাড়া আসরে ভালো করায় বাফুফে এলিট একাডেমিতে অনুশীলনের ডাক পেয়েছেন দুই দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়।
ফুটবলাররা বলেন, প্রাইজমানি আর একটু বাড়িয়ে দিলে ভালো হতো। কেননা অনেক টাকা ইনভেস্ট করে আমরা টুর্নামেন্টের ফাইনালে আসছি।
শুধুমাত্র এই টুর্নামেন্টকে লক্ষ্য রেখে ফুটবলারদের আলাদাভাবে প্রস্তুত করতে একাডেমিগুলোর তিনমাসের বেশি সময়ের পরিশ্রমে খরচ হয়েছে বিশাল অঙ্কের অর্থ। যা বহন করে পরের এমন টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া অনেকটা চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করেন সংগঠকরা।
রামপুর একাদশ ফুটবল একাডেমির কোচ আসাদুর রহমান বলেন, ‘ঢাকায় আমরা হোটেলে ছিলাম। ফুটবলারদের ভালো খাবার খাওয়াতে হয়েছে, সবমিলিয়ে আমাদের অনেক ব্যয় হয়েছে।’
ফিরোজ কামাল ফুটবল একাডেমির স্বত্বাধিকারী মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমরা স্পন্সর পেয়েছি। আবার একাডেমির পক্ষ থেকেও ইনভেস্ট করতে হয়েছে।’
বাফুফে বলছে, প্রাইজমানির বাইরে একাডেমিগুলোকে আর্থিক কিংবা অন্যান্য কোনো বাড়তি সুবিধা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে ভবিষ্যতে প্রাইজমানি বাড়ানোর আশ্বাস দিলেন ফেডারেশনের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক।
ফুটবল সংগঠকরা মনে করেন, প্রতিভাবান খেলোয়াড় বের করে আনতে টুর্নামেন্ট যেমন জরুরি, তেমন তাতে অংশ নেয়ার জন্য আর্থিক যোগানও জরুরি। আর তা নিশ্চিতে অভিভাবক হিসেবে বাফুফে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবে, এমনটাই আশা তাদের।