ফুটবল
এখন মাঠে
0

দামি দল গড়ার রেকর্ড ম্যানইউ'র

প্রায় দেড়শ' কোটি ইউরো ব্যয় করে ইউরোপিয়ান ফুটবলে রেকর্ড গড়ল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ২০২২-২৩ মৌসুম শেষে দলের খেলোয়াড়দের পেছনে এই অর্থ দলটি ব্যয় করেছে বলে উয়েফার প্রতিবেদনে উঠে আসে।

২০২২-২৩ লিগে পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় হলেও সেই মৌসুমে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে সবচেয়ে দামি স্কোয়াড গড়ার রেকর্ড গড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এর আগে কখনোই কোন ইউরোপের ক্লাব দল গঠনে এতো অর্থ ব্যয় করেনি। উয়েফা ফাইন্যান্সের সবশেষ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ মৌসুম শেষে রেড ডেভিলসদের ব্যয় করা অর্থের পরিমাণ ১৪২ কোটি ২০ লাখ ইউরো, যা টাকায় ১৬ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।

এর ফলে ২০২০ সালে রিয়াল মাদ্রিদের ১৩৩ কোটি ইউরো ব্যয়ের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে ম্যানইউ। ২০২৩ মৌসুমের আগেই দলটির সাথে ছিল প্রায় ১০ কোটি ইউরোর আন্তনি। এছাড়াও দামি ফুটবলারদের মধ্যে ছিলেন হ্যারি মাগুয়ার, সাঞ্চো, কাসেমিরো, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, অ্যান্থনি মার্শিয়ালরা। মূলত উয়েফা দলের পত্যেক খেলোয়াড়ের দলবদলের ফি ধরেই ক্লাবের মোট দাম হিসেব করা হয়ে থাকে।

সবশেষ এই হিসাবে দামি ক্লাবের তালিকায় প্রথম তিনটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। নতুন করে ১০০ কোটি ইউরোর ঘরে নাম লিখিয়েছে চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটি। ২০১৩ সালে ট্রেবল জয় করা ম্যানচেস্টার সিটি দলগঠনে ব্যয় করেছিল ১২৮ কোটি ৬০ লাখ ইউরো। আর চেলসির ব্যয় ছিল ১০৮ কোটি ৪০ লাখ ইউরো। আর চতুর্থ দামি দল রিয়াল মাদ্রিদের ব্যয় ১০৩ কোটি ১০ লাখ ইউরো।

ব্যয়ের দিকে চতুর্থ হলেও ২০২২ সালে ক্লাবগুলো আয়ের তালিকায় এক নম্বরে আছে রিয়াল। ৮৪ কোটি ১০ লাখ ইউরো আয় করেছে দলটি। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটির আয় ৮৩ কোটি ৬০ লাখ ইউরো, বার্সেলোনার ৮১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো আর পিএসজির আয় ৮০ কোটি ৭০ লাখ ইউরো।

গড়ে ৩২ কোটি ৩০ লাখ ইউরো আয় করা ২০টি ক্লাবের মধ্যে ৯টিই ইপিএলের।

এসএস