ফুটবলে মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ড ব্যালন অন ডি অর। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গোল অ্যাসিস্ট থেকে শুরু করে দলীয় অর্জনের উপর ভিত্তি করে দেয়া হয় এ পুরস্কার। ১৯৫৬ সাল থেকে ব্যালন ডি অর প্রথা চালু হওয়ার পর বিশ্বের অনেক কিংবদন্তি ফুটবলারের হাতে উঠেছে সেরা হওয়ার এ তকমা।
তবে ফুটবলে মাঠে সম্ভাব্য সবকিছু জিতেও অনেক ফুটবলার ছুঁয়ে দেখতে পারেনি স্বপ্নের ব্যালন ডি অর। এরমধ্যে অন্যতম রবার্ট লেভানডফস্কি। ২০১৯-২০ মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিউখের হয়ে ৫৫ গোল করছিলেন তিনি। জিতেছিলেন ট্রেবলও। তবে ভয়াল করোনার কারণে ব্যালন ডি অর প্রদান থেকে বিরত থাকে ফ্রেঞ্চ ফুটবল। ২০২০-২১ মৌসুমে জার্মান লিগ জয়ের পাশাপাশি বায়ার্নের হয়ে করেছিলেন ৬২ গোল, তবে সেবার মেসির কাছে হেরে যান পোলিশ এ স্ট্রাইকার।
খুব কাছে গিয়েও ব্যালন ডি অর জেতা হয়নি লিভারপুল ডিফেন্ডার ফন ডাইকের। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ইপিএলের সেরা ফুটবলার হন তিনি। রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হয়েও অল রেডদের ১০ গোলে অবদান রাখেন তিনি। লিভারপুলেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানোর সাথে নিজেও হন উয়েফার বর্ষসেরা। এতকিছুর পরও মেসির কাছে ব্যলন ডি'অর হারান এ ডাচ তারকা।
প্রথমবারের মতো ২০১২-১৩ মৌসুমে ট্রেবল জেতে বায়ার্ন। সেবার মুলার, ফিলিপ লামরা ফর্মে থাকলেও ফ্রাঙ্ক রেবেরি ছিলেন অনন্য। সেবার বায়ার্ন হয়ে ৩৩ গোল করা এ ফুটবলার ব্যালন ডি অর হেরে যায় কোন মেজর শিরোপা না জেতা রোনালদোর কাছে।
২০১০ সালে নিজের দ্বিতীয় ব্যালন ডি'অর জিতেন লিওনেল মেসি। তবে সেবার ওয়েসলি স্নেইডার তার দেশ নেদারল্যান্ডসকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলেন। ইন্টার মিলানের হয়ে জেতেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। তবুও জেতা হয়নি ব্যালন ডি'অর।
২০০৪ সালে মরিনহোর অধীনে পোর্তো হয়ে ট্রেবল জেতেন ডেকো। সে বছর উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন তিনি। তার অসাধারণ নৈপূণ্যের কারণে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময় বার্সেলোনা তাকে কিনে নেয়। স্বপ্নের মতো একটা বছর পার করেও সে বছর ব্যালন ডি অর জেতা হয়নি ডেকোর।