বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ছোটবেলা থেকেই। টাঙ্গাইল শহরের পারদিঘুলীয়া এলাকার রিজান হোসেন, পূর্ব আদালত পাড়ার দেবাশীষ সরকার এবং দেলদুয়ারের রিফাত বেগের ক্রিকেট যাত্রা একই সময়ে, ২০১৫ সালে।
পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া অবস্থাতেই শুরু করেন ক্রিকেট প্রশিক্ষণ। টেপ টেনিস দিয়ে শুরু করা তরুণরা সম্প্রতি বাংলাদেশকে দিয়েছেন এশিয়া জয়ের গৌরব।
ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়ের মাধ্যমে, জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্নের আরও কাছে গেলো এই তরুণদের। আশা করছেন, একদিন দেশের হয়ে অংশ নেবেন বিশ্বকাপে।
এত দূর আসতে পরিবার, স্থানীয়রা ও সিনিয়র খেলোয়াড়দের সহযোগিতা ছিল। তামিম ইকবালের কাছ থেকে উপহার পাওয়া ব্যাটও তাদের উৎসাহ বাড়িয়েছে। তবে আর্থিক সংকটে কষ্ট করেই স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করেছে রিজানের পরিবার।
অন্যদিকে, দেবাশীষ পাচ্ছেন পরিবারের সার্বিক সহযোগিতা। তাদের আশা, জাতীয় দলে জায়গা পেলে ছেলে দেশের জন্য বড় কিছু করবেন তিনি।
তবে কোচের মতে, এই তিন তরুণের টেকনিক ও খেলার মান অনেক উন্নত। আশা করছেন, তারা জাতীয় দলে টাঙ্গাইলের শূন্যতা পূরণ করবেন।
ঢাকা উত্তর ডিভিশনের অতিরিক্ত কোচ মো. আরাফাত রহমান বলেন, এখন আমাদের পাইপলাইনে যে প্লেয়ার আছে টাঙ্গাইলের অনূর্ধ্ব-১৯ এ আমাদের যে তিনটা প্লেয়ার খেলে আসলো রিফাত বেগ, রিজান ও দেবাশীষ। এবং শ্রীলঙ্কায় আমাদের দুইটা প্লেয়ার অনূর্ধ্ব-১৭ খেলে এসেছে রাফি এবং এহসানুল হক মাহিন। তো যেটা আমাদের কনফিডেন্স এ জায়গা থেকে ইন শা আল্লাহ এ শূন্যতা পূরণ হবে যে আমরা টাঙ্গাইল থেকে জাতীয় দেলে খেলোয়াড় দেখতে পারবো।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক কাউন্সিলর কাজী জাকেরুল মওলা বলেন, ‘এ সমস্ত খেলোয়াড়রা যখন একটা বিশ্বকাপ জয় করে বা এই যে এশিয়া কাপ জয় করলো এরা বিশ্বকাপের দিকে নজর দিবে। বিশ্বকাপ দলেও এরা স্থান পাবে। তবে এটা বড্ড কঠিন। তবে আমি মনে করি যে, এদের আরো বেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং বেশি বেশি ক্রিকেটের আয়োজন করতে হবে।’
এশিয়া কাপের ফাইনালে রিজান ৮ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১ উইকেট, আর ব্যাট হাতে ৬৫ বলে করেছিলেন ৪৭ রান। দেবাশীষ ৬ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট। রিফাতও ছিলেন দলের অন্যতম ভরসা।