ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

অর্থের লোভে জুয়াড়িদের ফাঁদে পা, ক্যারিয়ার শেষ ক্রিকেটারদের

জনপ্রিয়তা, অর্থ, যশ কিংবা খ্যাতি কী না পাওয়া যায় ক্রিকেটে। তবে, জুয়াড়িদের ফাঁদে পা দিলেই সব শেষ। নায়ক থেকে হতে হয় খলনায়ক। হ্যান্সি ক্রনিয়ে থেকে শুরু করে মোহাম্মাদ আমিরের মতো গ্রেট ক্রিকেটাররা এই অর্থের লোভে হারিয়েছেন সম্মান।

ক্রীড়াঙ্গনে ক্রিকেট অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন মাধ্যম। আর ক্রিকেটারেরা এই বিনোদনের নায়ক । তবে ম্যাচ ফিক্সিং বা ম্যাচ গড়াপেটার সাথে জড়িত থেকে তাদের অনেকেই আবার হয়েছেন খলনায়ক, হয়েছেন আজীবন নিষিদ্ধ। দায়টা অবশ্য যতটা না জুয়াড়িদের তার চেয়েও বেশি ক্রিকেটারদের।

জুয়াড়িদের পেশাই জুয়া খেলা। কিন্তু ক্রিকেটারদের! ক্রিকেট খেলে এমন বেশির ভাগ দেশগুলোতেই জনপ্রিয়তা, অর্থ, যশ কিংবা খ্যাতির শীর্ষে থাকেন ক্রিকেটারেরা । তারপরেও কেনো তাদের এই বিপথ গমন? উত্তরটা হয়ত জুয়ার সাথে সম্পৃক্ত ক্রিকেটারেরাই সবচেয়ে ভালো দিতে পারবেন।

টাকার কাছে দেশপ্রেম তুচ্ছ হয়ে যাওয়ার মতো এমন নিন্দনীয় ঘটনায় অনেকেই জড়িয়েছেন বা নিষিদ্ধ হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে ভারত সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়কে জুয়াড়ির মাধ্যমে ঘুষ দেয়ার অভিযোগ ওঠে ভারতের সাবেক অধিনায়ক আজহারউদ্দিনের উপর। গুঞ্জন আছে সেই ঘটনায় নিষিদ্ধ আজহারউদ্দিন নিজেও ১০ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। যদিও অভিযোগ থেকে মুক্ত হন আজহার।

সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রনিয়েও ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে আজীবন নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। দলের ভেতরের তথ্য পাচার করার মতো গুপ্তচরবৃত্তির এই কাজের জন্য ক্রনিয়ে ৫০ হাজার ডলার পেয়েছিলেন বলে শোনা যায়।

ভারতের আরেক ক্রিকেটার নুয়ান মুঙ্গিয়া উপর ১৯৯৭ সালে ধীর ব্যাটিংয়ের কারণে অভিযোগ ওঠে ম্যাচ ফিক্সিয়ের। কত টাকা নিয়েছিলেন সেটা জানা না গেলেও আজহারউদ্দিনের ফিক্সিং স্বীকারোক্তিতে এসেছিল অজয় জাদেজার নামও।

২০০৭ সালে নিজ দলের তথ্য পাচার করার অভিযোগে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মারলন স্যামুয়েলস। সেখান থেকে নিষ্কৃতি পেলেও ২০১৯ সালে নতুন অভিযোগ ও তদন্তের ভিত্তিতে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন স্যামুয়েলস।

২০১০ সালে ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও আমির । জুয়াড়ি মজিদের দাবি অনুযায়ী সালমান বাট, মোহাম্মাদ আসিফ ও আমিরকে ১০০০০, ৬৫০০০ ও ২৫০০ পাউন্ডস নিয়েছিলেন।

পাকিস্তানি লেগ স্পিনার দানিশ কানেরিয়া ২০১২ সালে ম্যাচ গড়াপেটার জন্য ৬০০০ পাউন্ড নিয়েছিলেন । ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয় কানেরিয়াকে।

ঐ ঘটনার পরপরই বাংলাদেশি সমর্থকদের ব্যথিত করে মোহাম্মাদ আশরাফুলের ফিক্সিং কাণ্ড। বিপিএল ও জাতীয় দলের অফিক্সিংয়ের অভিযোগে নিষিদ্ধ হন বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই সুপার স্টার।

আইপিএলে ২০১৩ সালে ১০ লক্ষ রুপির বিনিময়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগে নিষিদ্ধ হন ভারতীয় বোলার শ্রীশান্ত। এছাড়াও ভারতের আরেক ক্রিকেটার অঙ্কিত চোহানও ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত থেকে নিষিদ্ধ হন।

অর্থ লোভ লালসা সইতে না পেরে দারুণ সব ক্রিকেটার অন্ধকারে গেছেন হারিয়ে। তবে, ক্রিকেট এখনও বিনোদনের ময়দানে আলো দিয়ে যাচ্ছে।

ইএ