তামিমের অসুস্থতার খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনে। অগ্রজদের মতোই উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় মাঠে আসা অনুজ ক্রিকেটাররা। খেলার মাঠে সুস্থতা কামনায় বিশেষ প্রার্থনায় যোগ দেন সবাই। এটিই সে মাঠ যে মাঠে শৈশব , কৈশরের দুরন্ত দিন পার করেছেন তামিম। পরিণত ক্রিকেটার হয়ে যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলে।
মাঠে প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরানো এ ক্রিকেট লিজেন্ড মাত্র ৩৬ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হবেন এটি সবার কাছেই অকল্পনীয়। জানান, মাত্র কয়দিন আগে চট্টগ্রামে ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সভাপতি হয়েছেন তিনি। নিয়মিত খোঁজখবর রাখছিলেন এখানকার ক্রিকেটের। সম্ভবনাময়ী প্লেয়ারদের। সেসময় তার অসুস্থতা অপূরণীয় ক্ষতির মুখে ফেলবে মনে করছেন ভক্ত অনুসারীরা।
ক্রিকেট অনুশীলন করতে আসাদের মধ্যে একজন বলেন, 'তামিম ভাই হচ্ছে আমাদের এখানে যারা আছে সিনিয়র থেকে জুনিয়র, কারও ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা থাকলেও সাহায্য করে।'
অন্য একজন খেলোয়াড় বলেন, 'চট্টগ্রামের খেলোয়াড় হিসেবে তামিম ইকবাল ভাই আমাদের আইডল। চট্টগ্রামে ক্রিকেটটা যে শুরু হয়েছে এটা আমরা কখনও চিন্তা করিনি।'
কাজির দেউড়িতে তামিমের লাল ইটের বাড়ি ভক্ত অনুসারী সবার পরিচিত। বিখ্যাত এ কাজি বাড়ি জন্ম দিয়েছে আকরাম খান, তামিম ইকবাল ও নাফিস ইকবালের মতো দেশ সেরা ক্রিকেটারদের। বর্তমানে সে বাড়িতে শুনশান নীরবতা। সবার প্রার্থনা দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারও মাঠে ফিরবে তামিম।
তামিমের প্রথম কোচ তপন দত্ত বলেন, 'সবার কাছে দোয়া চাই। সবাইকে বলতে চাই যে সে ভালো হয়ে, সুস্থ হয়ে আবার মাঠে ফিরে আসুক। সবার কাছে অনুরোধ করবো সবাই যেন তামিমে জন্য দোয়া, প্রার্থনা কের। যেন আল্লাহ-ইশ্বর তাকে দ্রুত সুস্থ করে মাঠে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।'
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লাল সবুজের পতাকার অধিনায়কত্ব করা তামিম ২০২৩ সালে অভিমান করে এ চট্টগ্রামেই ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে ফিরলেও ২০২৫ সালে ১০ জানুয়ারি আবারও অবসরের ঘোষণা দেন তিনি।