ক্রিকেট
এখন মাঠে
১৪ বছরে পিসিবির ১২ বার কোচ বদল
পান থেকে চুন খসলেই দায় গিয়ে পড়ে কোচদের ওপর। কোন প্রকার আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়াই কোচের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। বিভিন্ন দেশের জাতীয় দলের ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ঘটনা চোখে পড়লেও ক্রিকেটে আনপ্রেডিক্টেবল দল পাকিস্তানে এমন ঘটনা যেন দুধ-ভাত। আর যখনই এমন কিছু ঘটে তখন বাধ্য হয়েই অন্তর্বর্তীকালীন কোচ নিয়োগ দিয়ে সাময়িক সমাধানের পথ খুজে নিতে হয়।

এবারও আরেকবার এমন সিদ্ধান্তই নিতে হলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি)। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্নকে প্রধান কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকেই প্রধান কোচের পদ শূন্য। যদিও অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরে অন্তর্বর্তী কোচের কাজ চালিয়েছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ আসলে হাফিজের মূল দায়িত্ব ছিল টিম ডিরেক্টরের। পিসিবির শীর্ষ পদে পরিবর্তন আসায় হাফিজও পদ হারান। যিনি এখন পর্যন্ত তার পাওনা বেতন বুঝে পেতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পিসিবির বারান্দায়।

এরপর থেকেই বিদেশি কোচের খোঁজে পিসিবি। পিএসএল চলাকালীন সময়ে দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড ২২ লাখ মার্কিন ডলারে শেন ওয়াটসনকে চেয়েছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু ভেতরের খবর ঘন ঘন কোচ বদলের স্বভাবে পিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়াটসন। এরপর স্যামি ও হেসনের কথাও ভাবে পিসিবি।

তবে পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমের দাবি, দেশটির সাদা বলে নতুন কোচ ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো গ্যারি কারস্টেন আর লাল বলে জ্যাসন গিলেস্পি। তবে গিলেস্পি প্রথমে পাকিস্তানে এসে কিছুদিন থেকে ভাব বুঝে পূর্ণ দায়িত্ব নিতে চান, তাও সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর। আর কারস্টেন আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আপাতত দায়িত্ব নিতে পারছেন না।

আগামী ১৮ এপ্রিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাবর আজমের দল। তাই বাধ্য হয়ে সাবেক দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ ইউসুফ ও আব্দুল রাজ্জাককে অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব দিয়েছে পিসিবি।

২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত পাকিস্তান জাতীয় দল ১২ বার কোচ বদল করেছে। যেখানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ৮ জন কোচের ওপর আস্থা রেখেছে।

এওয়াইএইচ