ওপেনিংয়ে জয়-জাকির আরও একবার দলের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ। ৫১১ রানের পাহাড়সম টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উইকেটে সেট হয়েছিলেন দু'জনই, তবে দলের প্রয়োজনে মাটি কামড়ে টিকে থাকতে পারলেন কই?
পারলেন না অধিনায়ক শান্তও। উইকেটে সেট হয়েছিলেন তিনিও। তবু লাহিরু কুমারার বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন।
অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালাচ্ছিলেন মুমিনুল। নিজের পছন্দের মাঠে পাল্টা আক্রমণই করছিলেন। কিন্তু ফিফটির পরই মনোযোগ হারালেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
অনেকদিন ধরেই ক্রিকেটে মনোযোগ নেই লিটন দাসের। এদিন আভাস দিয়েছিলেন ছন্দে ফেরার। কিন্তু আউট হলেন শিশুসুলভভাবে।
সাকিব আল হাসানও সেট হয়েছিলেন। এক বছর পর টেস্টে ফিরে রানে ফেরার চেষ্টা করছিলেন। তবে দলের বিপদের মুহূর্তে যেভাবে আউট হলেন সেটি তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে দেয়। অফস্ট্যাম্পের এত বাইরের বলে ব্যাট চালানোর কি প্রয়োজন ছিল, তার উত্তর কেবল সাকিবেরই জানা! তবে খেসারত দিয়েছে গোটা দল।
দিনশেষে মাঠে আছেন কেবল মেহেদি মিরাজ। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালিয়েছেন তিনি। তবে ম্যাচটা বাঁচাতে হলে তাকে পড়ে থাকতে হবে মাটি কামড়ে। পারবেন তো মিরাজ?
দিনের শুরুতে বোলাররা অবশ্য তাদের কাজটুকু ভালোভাবেই সেরেছেন। আগেরদিনই লঙ্কানদের ৬ উইকেট তুলে নেয়া বাংলাদেশ এদিন তুলে নিতে পেরেছে কেবল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের উইকেটটাই। ৭ উইকেটে ১৫৭ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় লঙ্কানরা।
প্রথম ইনিংসেই ৩৫৩ রানে এগিয়ে থাকা লঙ্কানরা লিড পায় ৫১০ রানের। যে রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই ক্রিকেটের ইতিহাসেই। তেমন অসম্ভব কিছুর পথে ছুটবে বাংলাদেশ। সেই দুরাশা দূরে থাক, চেষ্টার ছিটেফোঁটারও দেখা মিললো না বাংলাদেশের ব্যাটারদের কাছ থেকে।