ছবিতে চেয়ারে বসে থাকা মানুষটিকে ক'জনই বা চেনেন? অধিকাংশের চেনার কথা নয়। কারণ তিনি একজন প্রচারবিমুখ মানুষ। ছিলেন ফুটবল কোচ ছিলেন। নাম তার মাসুক আহমদ। না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন প্রায় একবছর আগে। সিলেটের এ ফুটবল কোচের হাত ধরে জাতীয় দলে খেলেছেন ওয়াহেদ,তকলিছ, ইয়ামিন মুন্নারা।
ফুটবলকে ভালোবেসে শহরের ইউনাইটেড ক্লাবের আওতায় গড়েছিলেন একাডেমি। পুরনো এ একাডেমির ফুটবলারদের স্মৃতিতে অম্লান মাসুক আহমদ। অনেকে শুধু মাসুক আহমদের নাম শুনেই একাডেমিতে অনুশীলন করে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন।
ক্ষুদে ফুটবলারদের অভিভাবকদের কাছেও আস্থার জায়গা মাসুক আহমদের একাডেমি।
ক্ষুদে ফুটবলাররা বলেন, 'এখানে অনুশীলন করতে ভালো লাগে। এখান থেকে বড় খেলোয়াড় হতে চাই।'
মাসুকের মৃত্যুর পর ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তারই সাবেক ছাত্র আজিজুর রহমান। জানা গেল নিভৃতচারী এ কোচ না থাকায় একাডেমি চালাতে খানিকটা বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। বলেন, 'মাসুক ভাই মারা যাওয়ার পর উনার একাডেমি দেখা তো অনেক পরের কথা, উনার পরিবারকেই অনেকে ভুলে গেছেন।'
বিখ্যাত এই কোচ অনন্তলোকে পাড়ি জমানোর পর কেমন আছে তার পরিবার? তা জানতে আমরা তাঁর বাসায় যাই। ছেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলে, নামী কোচ হলেও আর্থিকভাবে তেমন সচ্ছল ছিলেন না মাসুক আহমেদ।
জীবদ্দশায় অসংখ্য ফুটবলার তৈরি করলেও বড় কোনো স্বীকৃতি মেলেনি মাসুক আহমদের। এ নিয়ে আক্ষেপ আছে তাঁর সন্তান ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের।
ছেলে মাহীর আহমেদ রিফাত বলেন, 'তিনি অনেক বড় মানুষ ছিলেন। কিন্তু বাফুফে থেকেও কিছু পায়নি।'
সিলেটের ফুটবল সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, দেশের ফুটবলের জন্য অবদান রাখা এই কোচকে একদিন ঠিকই প্রাপ্য সম্মান জানানো হবে।