এখন মাঠে
মানিকগঞ্জ স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণকাজের অগ্রগতি নেই
অনিশ্চয়তার মুখে মানিকগঞ্জ স্পোর্টস কমপ্লেক্স। সম্ভাব্যতা যাচাই, নকশা তৈরি শেষ হলেও নির্মাণকাজের অগ্রগতি নেই। মন্ত্রণালয়ের দাবি, এখনও কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত আসেনি। আর ক্রীড়ামন্ত্রীও স্টেডিয়ামের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা স্পষ্ট করেননি।

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পদ্মার পাড়ে দৃষ্টিনন্দন এক স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ দুই বছর আগে শেষ হয়েছে। যদিও রাজধানীর এতো কাছে স্টেডিয়াম তৈরির ঘোষণা আসে আরও ৯ বছর আগে অর্থ্যাৎ ২০১৫ সালে।

পদ্মা নদী ঘেঁষে দৃষ্টি জুড়ানো এই স্টেডিয়ামের নকশায় নতুনত্ব রয়েছে। আর প্রাধমিকভাবে প্রায় ১৮শ’ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিলো।

স্টেডিয়ামটির নকশায় খেলার পাশাপাশি নানা রকম বাণিজ্যিক অবকাঠামো রাখা হয়েছে। সঙ্গে পাঁচ তারকা হোটেলে থাকার ব্যবস্থা আছে এবং প্রস্তাবিত নকশায় সেখানে বসে খেলা উপভোগ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এছাড়া স্টেডিয়াম ঘিরে পর্যটন স্পট করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

স্থপতি মাসুদুর রহমান খান বলেন, ‘সম্ভাব্যতা যাচাই হয়েছে। এখন একনেকে পাস হতে হবে এবং চূড়ান্ত অনুমোদনের বিষয় আছে।’

আরেকজন স্থপতি মুস্তফা খালিদ পলাশ বলেন, ‘এই স্টেডিয়ামটি সবুজের মাঝে করা হয়েছে। পদ্মার কাছাকাছি এই স্টেডিয়াম, আর পাশেই যে হোটেল থাকবে সেখান থেকেই খেলা দেখার সুযোগ আছে।’

সাবেক সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়ের হাত ধরেই আন্তর্জাতিক মানের এই স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নির্মাণের পরিকল্পনা হয়। বিদেশি অর্থায়নেই কাজ শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয় বলেন, ‘আমি দুইবার সংসদ সদস্য ছিলাম। তাই আমার দায়বদ্ধতাও বেশি। একইসঙ্গে ক্রীড়াঙ্গনের লোক হিসেবে জানি, আমাদের মাঠের প্রয়োজনীয়তাও আছে। সে জায়গা থেকে ফান্ডের চিন্তা করি, কিছু প্রস্তাবও আছে। আশা করছি, বিদেশি অর্থায়নেই স্টেডিয়ামের কাজ করা সম্ভব হবে। আর এটি ঋণও না স্পন্সর বলতে পারি।’

তবে ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের কণ্ঠে স্টেডিয়ামের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশার বাণী শোনা যায়নি। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের খেলার মাঠ নির্মাণে আরও বেশকিছু শর্ত মানতে হবে।’

এমন প্রেক্ষাপটে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পেলেই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

এওয়াইএইচ