এর আগে, সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং দেন। তিনি দাবি করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন। তবে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তিনি প্রকাশ করেননি।
এরপর বিভিন্ন গুজব সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় বিএনপি মিডিয়া সেল সতর্কতা জারি করে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা-সংক্রান্ত একমাত্র অফিসিয়াল বিবৃতি ডা. জাহিদ হোসেনই দেবেন।
মিডিয়া সেল থেকে বলা হয়েছে, অযাচিত, যাচাইবিহীন বা বিভ্রান্তিমূলক কোনো তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া করুন।
আরও পড়ুন:
এর আগে, ২৩ নভেম্বর রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে তাকে ভর্তি করে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসস খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের যুক্ত রাখা হয়েছে। আজ সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা জানেন, ম্যাডাম অসুস্থ। আমাদের চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। দেশি-বিদেশি সব চিকিৎসককে যুক্ত রেখেই তার চিকিৎসা চালানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আমরা সবসময় গোটা দেশবাসী এই দোয়া করছি যে, তিনি যেন তাকে (খালেদা জিয়া) সুস্থ করে আবার আমাদের মাঝে পাঠিয়ে দেন।’
বিএনপি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিস্তারিত আপডেট শিগগিরই দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ব্রিফিংয়ে জানাবেন।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরেই আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।





