তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭ বছর পর কারামুক্ত হয়ে আবারও নির্বাচন করতে পারব কখনো ভাবিনি। এজন্য মহান আল্লাহ তাআলার কাছে শুকরিয়া জানাই। পাশাপাশি আমার দল আমার নেত্রী খালেদা জিয়া ও নেতা তারেক রহমানের কাছেও শুকরিয়া আদায় করছি। আবারও এই ভাটি বাংলার মানুষের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন।’
লুৎফুজ্জামান বাবর বলেন, ‘মনোনয়ন পাওয়ার পর আজকেই প্রথম আমি আমার নিজ এলাকায় ফিরছি। এজন্য আমার নেত্রকোণাবাসীর কাছেও আমি শুকরিয়া আদায় করি। কারণ নেত্রকোণার মানুষ আমার জন্য অনেক দোয়া করেছে। আমার নির্বাচনি এলাকা নেত্রকোণা ৪ মদন, মোহনগঞ্জ খালিয়াজুরির ভাটি বাংলার মানুষের ঋণ আমি কখনোই ভুলতে পারবো না। আমি আমার পুরো জীবন তাদের জন্য যতটুকু পারি করে যাবো। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’
এদিকে আগামীতেও হাওর পাড়ের মানুষ আপনাকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই এমন প্রশ্নের জবাবে লুৎফুজ্জামান বাবর বলেন, ‘পূর্বে আল্লার ইচ্ছা আর আমার নেত্রী ও নেতার কারণেই আমি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলাম। ভবিষ্যতে কী হবে তাও মহান আল্লাহতালা আর আমার নেত্রী ও নেতাই নির্ধারণ করবেন। এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’
এছাড়াও জুলাই সনদ পত্র নিয়ে তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদের ব্যাপারে আমাদের মহাসচিব ইতিমধ্যে কথা বলেছেন। এবং প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর দল থেকে তাকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। সেটাই আমার বক্তব্য এবং আমিও তাকে সাধুবাদ জানাই।’
উল্লেখ্য, নেত্রকোণার পাঁচটি আসনের মধ্যে হাওর বিস্তৃত তিন উপজেলা মদন মোহনগঞ্জ খালিয়াজুরি নিয়ে নেত্রকোণার ৪ আসন গঠিত। এ আসনেই দীর্ঘ ১৭ বছর পর ধানের মনোনীত প্রার্থী করেছে বিএনপি।





