নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বাংলাদেশে আসলে গণতন্ত্র নেই। বিএনপি যে গণতন্ত্র বলে, এ গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে আসলে জিয়া ফ্যামিলির কয়েকটা লোক ক্ষমতায় যেতে চায়। জামায়াতে ইসলামী যে গণতন্ত্রের কথা বলে, সে গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে তাদের এক-দুই লাখ লোক ক্ষমতায় যেতে চায়। আমরা যে গণতন্ত্র বলি, আমরা জনগণের ক্ষমতায়ন চাই।’
শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেয়া সম্ভব না হওয়ায় তালিকা থেকে বিকল্প প্রতীক বাছাইয়ের শেষ সময় ছিল এদিন। নির্ধারিত সময়ে এনসিপি প্রতিনিধি দল লিখিত জবাব দিয়ে অনড় অবস্থান তুলে ধরেন।
এএমএম নাসির উদ্দিনের নির্বাচন কমিশন ‘চার ভাগ হয়ে গেছে’ বলে মন্তব্য করেন এই এনসিপি নেতা। দলটির এ মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘ইসি চার ভাগ হয়ে রয়েছে; এর এক ভাগ নিয়ে গেছে আর্মি; বাকি তিন ভাগকে দলগুলো ভাগ করে নিয়েছে।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘ইসির টেন্ডার থেকে এনআইডি কাজে দুর্নীতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। কোনো প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিগ্রস্ত হলে তাদের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করাটা সম্ভব নয়।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘শুধু শাপলার জন্য আসিনি। নতুন বাংলাদেশের স্বাধীন ইসি প্রতিষ্ঠার জন্য এসেছি। ইসিকে এনসিপির পছন্দের প্রতীক শাপলা দিতে হবে। আশা করি, শাপলা পাব এবং শাপলা নিয়ে নির্বাচন করব।’
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘ইসিকে জাগানোর পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রচেষ্টায় এনসিপি কাজ করে যাচ্ছে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে কাজের নামে তারা আমোদ-প্রমোদে ব্যস্ত; সেখানে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
নির্বাচন কমিশনকে সমালোচনা করে এ সময় তিনি বলেন, ‘সদিচ্ছা নিয়ে এ নির্বাচন কমিশন যদি দলদাস না হয়ে, ক্যান্টনমেন্টের দাস না হয়ে এক মাস কাজ করে, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেয়া সম্ভব। সেই চ্যালেঞ্জটা ফেস করবে কি না, এ সৎ সাহস তাদের নেই। কমিশন ঘুমিয়ে আছে, তাদের জাগানোর চেষ্টা করছি।’





