তিনি বলেন, ‘দেশের ওলামায়ে কেরাম যখন জাতির নেতৃত্ব দেবেন, তখনই জাতি, দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্র কল্যাণের পথে এগিয়ে যাবে এবং একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র ও সমাজ কায়েম হবে।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৯০ দশমিক ৮ ভাগ মুসলমান।’ তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, যেখানে যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছে।’ তিনি ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজিত করার বিপক্ষে মত দেন।
ইসলামী দল ও শক্তিসমূহের ঐক্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরে জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘এ ঐক্য দেশবাসীর কাম্য।’ তিনি উপস্থিত বিশিষ্ট ওয়ায়েজ ও দাঈগণের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা ঐক্য বিনষ্টকারী এবং বিভেদ-বিভ্রান্তি তৈরি করে এমন যেকোনো বক্তব্য পরিহার করেন।
দাঈ-ইলাল্লাহ বা আল্লাহর পথে আহ্বানকারীদের উদ্দেশে তিনি জানান, তাদের অবশ্যই বিনয়ী হতে হবে এবং কোনোভাবেই বাহাস বা আত্মঘাতী কোনো বিতর্কে লিপ্ত হওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ‘আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে পারদর্শী হয়ে জাতিকে জাগ্রত করার দায়িত্ব পালন করতে হবে।’ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের বিবেককে জাগ্রত করতে এবং সকল মানুষের সেবা করার জন্য তিনি ওলামায়ে কেরামের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান, আর রাসূল (সা.)-কে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করতে হবে।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমাদের সকলের কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে, অন্যথায় কথার কোনো প্রভাব মানুষের মনে পড়বে না। তিনি কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে মানুষের সামনে বুদ্ধিবৃত্তিক, বিশ্লেষণধর্মী দাওয়াত পেশ করার এবং বিতর্কিত বক্তব্য পরিহার করে জিহাদ, ইসলামী শরিয়াহ ও দ্বীন সম্পর্কে সঠিক বক্তব্য তুলে ধরার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় উলামা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জামেয়া-ই-কাসেমিয়া নরসিংদীর সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ কামাল উদ্দিন জাফরী, গোপালগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী। সম্মেলনে সারা দেশ থেকে আগত বিশিষ্ট ওয়ায়েজ ও দাঈগণ অংশগ্রহণ করেন।
